রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের শক্তিশালী ভূমিকার প্রত্যাশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ককে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে প্রত্যাশা করছে ঢাকা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি

ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ককে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে প্রত্যাশা করছে ঢাকা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন আজ রোববার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আশা করি, আমেরিকার (নতুন নেতৃত্ব) ভৌগলিক ও উদীয়মান দেশ হিসেবে গ্রহণ করে আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়িয়ে তুলবে।’

তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও শক্তিশালী ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।

মিয়ানমারের গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূলের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে ফোকাস করায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে আরও সোচ্চার হবে।’

ড. মোমেন জলবায়ু, অভিবাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কিত বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রত্যাশা করছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে নির্বাচনে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার প্রত্যাশা করেছেন।’

জো বাইডেনকে পাঠানো এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে, আমি আপনার সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ, হিংস্র উগ্রবাদ, বিদ্বেষ, রোহিঙ্গাদের মতো জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতকরণের মতো ঘটনা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা এবং কার্যকর ও উন্নত বিশ্ব তৈরিতে কাজ করতে চাই।’

১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ এক দুর্দান্ত ও টেকসই সম্পর্ক তৈরি করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশটির শীর্ষস্থানে আপনি (জো বাইডেন) থাকায় এ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে উচ্চতর উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আমার মনে হচ্ছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Yunus seeks US support to rebuild Bangladesh, implement reforms

Tells US delegation that Bangladesh is in a significant moment in its history

1h ago