সাঙ্গু-মাতামুহুরি অভয়ারণ্য ও সংরক্ষিত প্রাকৃতিক বনাঞ্চল রক্ষা করুন
পার্বত্য চট্টগ্রাম বন ও ভূমি অধিকার সংরক্ষণ আন্দোলন এক বিবৃতিতে সাঙ্গু-মাতামুহুরি অভয়ারণ্য ও সংরক্ষিত প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ধ্বংস বন্ধ ও বন ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
১৮৮০ সালে সংরক্ষিত ঘোষিত এই বনাঞ্চল দেশের একমাত্র কুমারী বনাঞ্চল হিসেবে পরিচিত।
সংঘবদ্ধ কাঠ পাচারকারীরা বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে সাঙ্গু বনাঞ্চলকে ধ্বংস করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে এখনো প্রায় এক হাজারের অধিক কাঠুরিয়াকে কাজে লাগিয়ে কাঠ পাচারকারীরা প্রাকৃতিক এই বনাঞ্চল ধ্বংস করছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
বিবৃতিতে অবিলম্বে সংরক্ষিত সাঙ্গু বনাঞ্চল থেকে কাঠুরিয়াদের সরানো, বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা, সাঙ্গু সংরক্ষিত বনাঞ্চল সংলগ্ন বড় মদক, ছোট মদক, রেমাক্রি ও তিন্দু এলাকায় জোত পারমিট ও কাঠ পরিবহন বন্ধ এবং এই বনাঞ্চল রক্ষায় উচ্চ পর্যায়ে একটি মাল্টি সেক্টরেল তদন্ত কমিটি করার দাবি জানানো হয়।
এই বনাঞ্চলে ৩৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৪৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ১৯ প্রজাতির উভচর প্রাণী এবং ১১ প্রজাতির বিরল পাখির অস্তিত্ব আছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বন ও ভূমি অধিকার সংরক্ষণ আন্দোলনের সভাপতি গৌতম দেওয়ান স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০১০ সালে বাংলাদেশে বিলুপ্তপ্রায় বন্য প্রাণীর অস্তিত্ব সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সাঙ্গু মাতামুহুরি বনাঞ্চলের অংশ নিয়ে সাঙ্গু মাতামুহুরি অভয়ারণ্য সৃষ্টি করা হয়।
বন বিভাগ, পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর প্রায় ১২-১৪ টি চেকপোস্ট অতিক্রম করে সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে গাছ পাচার করতে পারা উদ্বেগের বলে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এই বনাঞ্চল ধ্বংস হলে পরিবেশের বহুমাত্রিক বিপর্যয়সহ সাঙ্গু নদীর পানি কাঠামোর উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বান্দরবান পাল্পউড বাগান বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন প্রাকৃতিক বন ধ্বংসের পেছনে বন কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘দুর্গম এলাকা হওয়ায় সাঙ্গু বনাঞ্চলে আমাদের পক্ষে যাওয়া সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না’
Comments