আমনের ফলন কিছুটা কম হলেও দামে খুশি কৃষক
উঁচু জমির আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে লালমনিরহাটে। মধ্য নভেম্বর থেকে শুরু হবে নিচু জমির ধান কাটা। গেল বছরের তুলনায় বিঘাপ্রতি ১ থেকে ২ মণ ধান কম উৎপাদন হয়েছে। তবে ফলন একটু কম হলেও আশানুরূপ দাম পেয়ে খুশি কৃষক।
কৃষকরা জানান, এবছর অতিবৃষ্টির কারণে আমন ধানে পোকামাকড়ের আক্রমণ ছিল বেশি। তাদেরকে কীটনাশক ওষুধে ব্যয় করতে হয়েছে অনেক টাকা। ফলনও কমেছে গেল বছরের তুলনায়। গত বছর প্রতিবিঘা জমিতে তারা ১০-১১ মণ ধান পেয়েছিলেন কিন্তু এ বছর পাচ্ছেন ৯-১০ মণ।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এ বছর লালমনিরহাটে পাঁচ উপজেলায় আমন আবাদ হয়েছে ৮৫,৫৭৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্য ধরা হয়েছে সাড়ে চার লাখ মেট্রিক টন ধান।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর এলাকার কৃষক নাদেরুল ইসলাম (৫৬) জানান, গেল বছর তিনি দুই বিঘা জমি থেকে আমন ধান পেয়েছিলেন ২১ মণ। কিন্তু এ বছর পেয়েছেন ১৯ মণ। গেল বছরের তুলনায় ফলন কিছুটা কম হলেও আশানুরূপ দাম পেয়ে তিনি খুশি। তবে নিচু জমিতে আমন ধানের ফলন আরও কম হতে পারে বলে তার আশঙ্কা।
আদিতমারী উপজেলার ভাদাই গ্রামের কৃষক আজগর আলী (৬৪) জানান, উচুঁ জমির ধান কাটছেন কিন্তু নিচু জমির কাটতে আরও সপ্তাহখানেক অপেক্ষা করতে হবে। এবছর অতিবৃষ্টি আর বন্যার কারণে ফলনে কিছুটা ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। তবে বাজারে প্রতিমণ ধান ১,০০০ থেকে ১,০৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে পেরে খুব খুশি আছেন তারা। ৬ বিঘা উঁচু জমি থেকে এবার ৫৮ মণ ধান পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
একই উপজেলার দৈলজোড় গ্রামের কৃষক জীতেন চন্দ্র বর্মণ (৬০) বলেন, এবছর কীটনাশক ওষুধ কিনতে হয়েছে প্রচুর। প্রতিবিঘা জমিতে আমন ধান উৎপাদন করতে খরচ হয়েছে সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। গেল বছর এ খরচ ছিল পাঁচ হাজার টাকা পযর্ন্ত।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামীম আশরাফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, জেলায় এ পযর্ন্ত ২০ শতাংশ জমির আমন ধান কাটা হয়েছে। তবে এখনও তারা ফলনের ঘাটতি পাননি। নিচু জমির আমন ধানের ফলন কিছুটা কম হতে পারে বলে জানান তিনি।
Comments