চীনাদের বাইডেনের জয় উদযাপন!

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয়ের খবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নীরব থাকলেও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টে এই দুই পরাশক্তির মধ্যে আরও ভাল সম্পর্কের আশা করছেন চীনের নাগরিকেরা।
চীনের গ্লোবাল টাইমস পত্রিকার প্রথম পাতায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ছবি ছাপানো হয়েছে। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয়ের খবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নীরব থাকলেও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টে এই দুই পরাশক্তির মধ্যে আরও ভাল সম্পর্কের আশা করছেন চীনের নাগরিকেরা।

আজ সোমবার দ্য গার্ডিয়ান জানায়, জয় নিশ্চিতের পরে বাইডেনের বক্তব্য হ্যাশট্যাগ দিয়ে 'বাইডেন ন্যাশনাল অ্যাড্রেস' সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সর্বাধিক দেখা বিষয় ছিল। চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবুতে বক্তব্যটি একশ কোটিরও বেশিবার দেখা হয়েছে।

সেখানে প্রতিক্রিয়াগুলো ছিল--'একজন প্রেসিডেন্টের আচরণ এমনই হওয়া উচিত', 'আমি তার বক্তব্য পুরোটা দেখলাম এবং এটি যথার্থ', 'ট্রাম্প নির্বাচনে পরাজয় অস্বীকার করায়, সম্ভাব্য দাঙ্গা এড়াতে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ' এমন। করোনাভাইরাস মোকাবিলাকে বাইডেনের অগ্রাধিকার দেওয়া এবং এর জন্য একটি ট্রানজিশনাল টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাবের সঙ্গে সম্মতি জানান তারা।

এদিকে, বেইজিংয়ে ২০১১ সালে বাইডেন যে দোকান পরিদর্শনে গিয়েছিলেন, সেখানে নুডলস খেতে মানুষের ভীড় পড়ে গেছে বলে জানা যায়।

চীনা সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বাইডেনের প্রথম স্ত্রী, কন্যা ও পুত্রের মৃত্যু নিয়ে বাইডেনের ব্যক্তিজীবনের ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কনিষ্ঠ মার্কিন সিনেটর থেকে প্রবীণ প্রেসিডেন্ট হওয়া পর্যন্ত তার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক পথের ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

বিজয়ের খবর পাওয়ার পর, বাইডেন প্রথমেই তার মৃত ছেলের সমাধিতে গিয়েছিলেন, এমন সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই শেয়ার করে সহানুভুতি প্রকাশ করেছেন।

ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের সম্পর্ক কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে। মানবাধিকার সম্পর্কিত বিষয় ছাড়াও প্রযুক্তি, বাণিজ্যিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা হয়েছে নানা জায়গায়।

বেইজিংভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর চীন অ্যান্ড গ্লোবালাইজেশনের সভাপতি ওয়াং হুইয়াও বলেন, তিনি আশা করেন চীনের সঙ্গে কাজ করতে বাইডেন বহুপাক্ষিক পদ্ধতি অবলম্বন করবেন। 'বাইডেন প্রশাসন চীনের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সংলাপ এবং আলোচনায় অংশ নেবে, যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করবে,' তিনি বলেন।

চীনা সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদক হু জিজিন একটি ভিডিওতে বলেছেন, মার্কিন রাজনীতি থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে চীন বাইডেনের বিজয়ে অভিনন্দন জানায়নি। তিনি উইবুতে লিখেছেন: 'এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উত্তাল এবং অনিশ্চিত পরিবর্তনের সময় ... চীনকে প্রস্তুত থাকতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago