কক্সবাজারে আত্মস্বীকৃত আরও ২১ ইয়াবা কারবারির জামিন

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির দুই বৈমাত্রেয় ভাইসহ আত্মসমর্পণকারী আত্মস্বীকৃত আরও ২১ জন ইয়াবা কারবারি জামিন পেয়েছেন।
২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর টেকনাফে আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন ইয়াবা কারবারির একাংশ। স্টার ফাইল ছবি

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির দুই বৈমাত্রেয় ভাইসহ আত্মস্বীকৃত আরও ২১ জন ইয়াবা কারবারি জামিন পেয়েছেন।

কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল গত ৩ নভেম্বর তাদের জামিন প্রদান করেন। এই আদালতের সরকারি কৌশলী (পিপি) ফরিদুল আলম আজ সোমবার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই ২১ জন নিয়ে দুই দফায় এ পর্যন্ত মোট ২৬ জন আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারি জামিন পেলেন। এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর পাঁচ জন হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।

২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের তৎকালীন আইজি ড. জাবেদ পাটোয়ারী, স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে টেকনাফ হাইস্কুল মাঠে ১০২ জন ইয়াবা ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এদের মধ্যে একজন কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা যান।

গত সপ্তাহে জামিন পাওয়া ইয়াবা কারবারিরা হলেন: বদির দুই বৈমাত্রেয় ভাই আবদুর শুক্কুর ও আমিনুর রহমান প্রকাশ আবদুল আমিন, ভাগ্নে শাহেদ রহমান নিপু ও চাচাতো ভাই ফয়সাল রহমান, নুরুল বশর কাউন্সিলর প্রকাশ নওশাদ, মারুফ বিন খলিল প্রকাশ বাবু, রেজাউল করিম মেম্বার, মো. হাবিবুর রহমান প্রকাশ নুর হাবিব, শামসুল আলম প্রকাশ শামসু মেম্বার, মোহাম্মদ সিরাজ, মোহাম্মদ আলম, মো. জুহুর আলম, বোরহান উদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, শফিকুল ইসলাম, কামরুল হাসান রাসেল, মং অং থেইন প্রকাশ মমচি, শামসুল আলম শামূম, হোছাইন আহমদ ও মোহাম্মদ আয়ুব।

তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা না থাকায় আজ তারা কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক নেছার আহমদ। হাইকোর্ট থেকে আগে জামিন নিয়ে যারা মুক্তি পেয়েছেন, তারা হলেন—নুরুল হুদা মেম্বার, নুরুল কবির, মোহাম্মদ ইউনুস, মাহবুব আলম ও মঞ্জুর আলী।

পিপি ফরিদুল আলম আরও জানান, যে ২১ জনকে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৩ নভেম্বর জামিন দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মাদক এবং অস্ত্র আইনে দুই করে মামলা ছিল। অস্ত্র আইনের মামলায় তারা আগেই জামিনে ছিলেন। মাদক আইনের মামলাতেও জামিন পেয়ে যাওয়ায় কারামুক্তির বাধা অপসারণ হয়।

কারাগারে থাকা একই মামলার আরও ৪৭ জন আসামি আজ সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন। বিচারক ইসমাইল ২২ নভেম্বর জামিন আবেদন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।

২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর ১০২ জন আত্মসমর্পণকারীর কাছ থেকে তিন লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা এবং ৩০টি দেশি এলজি ও ৭০টি কার্তুজ জব্দ দেখানো হয়েছিল। উদ্ধারকৃত মালামাল নিয়ে আত্মসমর্পণকারীদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুইটি করে মামলা হয়েছিল টেকনাফ থানায়।

 

আরও পড়ুন: 

আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে ভাই-ভাগ্নেসহ ৭ ইয়াবা চোরাকারবারি বদির আত্মীয়

কক্সবাজারে ১০২ মাদক ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণ​

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago