পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট
২০০০ সালের ১০ নভেম্বর। ২০ বছর আগের এ দিনে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের। গ্যালারি ভর্তি দর্শকের সামনে শ্বেতশুভ্র জার্সিতে প্রথমবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে নেমেছিল টাইগাররা। অভিষেক ম্যাচে দারুণ আশা জাগালেও এখনও টেস্টে সংগ্রাম করতে হয় বাংলাদেশকে। ঐতিহাসিক দিনটিতে দেখে নেওয়া যাক বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের নানা পরিসংখ্যান।
- ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট ম্যাচটি ছিল ক্রিকেট ইতিহাসের ১৫১২তম ম্যাচ।
- বাংলাদেশের অভিষেক ম্যাচ হলেও সেটা ছিল ভারতের ৩৩৪তম ম্যাচ।
- বাংলাদেশের মাটিতে সেটা ছিল নবম টেস্ট ম্যাচ। প্রতিটি ম্যাচই হয়েছিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। এর মধ্যে সাতটি অনুষ্ঠিত হয় যখন বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল। অপরটি ছিল এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। সেখানে খেলেছিল পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।
- সে টেস্টে মোট ১৪ জন খেলোয়াড়ের অভিষেক হয়েছিল। বাংলাদেশের ১১ খেলোয়াড়ের পাশাপাশি ভারতের তিন খেলোয়াড়ের অভিষেক হয়।
- অস্ট্রেলিয়ান চার্লস ব্যানারম্যান ও জিম্বাবুয়ের ডেভ হটনের পর তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে নিজ দেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন বাংলাদেশের আমিনুল ইসলাম বুলবুল (১৪৫)। আর সবমিলিয়ে ইতিহাসের ৪৫তম ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি পান তিনি।
-নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের (৬/১৩২) বোলিং ফিগারটি কোনো দেশের অভিষেকে দ্বিতীয় সেরা। ইতিহাসের প্রথম টেস্ট ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার টম কেন্ডালের ৫৫ রানে ৭ উইকেট এখন পর্যন্ত সেরা।
- প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৪০০ রান কোনো দেশের অভিষেক টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। ১৯৯২-৯৩ সালে ভারতের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে সর্বোচ্চ ৪৫৬ রান করেছিল।
- ভারতের ২৭তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয় সৌরভ গাঙ্গুলির। পঙ্কজ রায়ের পর তিনি দ্বিতীয় বাঙালি, যিনি ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হন।
- অধিনায়ক হিসেবে জয় দিয়ে টেস্ট শুরু করা পঞ্চম ভারতীয় সৌরভ। এর আগে পলি উমরিগার, সুনিল গাভাস্কার, রবি শাস্ত্রী ও শচিন টেন্ডুলকার অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্টে জয় পেয়েছিলেন।
- বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের সে জয়টি ছিল দেশের বাইরে ১৪তম। এর আগে ১৫৬টি অ্যাওয়ে টেস্ট ম্যাচ খেলে ১৩টি জয় পেয়েছিল তারা।
- বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯ উইকেটের সে জয় ছিল দেশের বাইরে ভারতের সবচেয় বড় জয়। এর আগে নিউজিল্যান্ডের মাঠেই দুবার (১৯৬৭-৬৮ ও ১৯৭৫-৭৬) ৮ উইকেটের জয় পেয়েছিল তারা।
- আম্পায়ার ডেভিড শেফার্ড নিজের ৫৪তম এবং আরেক আম্পায়ার স্টিভ বাকনার ৫২তম টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করেন।
Comments