সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিমের মৃত্যু ‘সুস্পষ্ট হত্যাকাণ্ড’, গ্রেপ্তার ১০

ASP_Anisul_Killing_10Nov20.jpg
জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমের মৃত্যুর বিষয়ে কথা বলছেন ডিএমপি তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশীদ। ছবি: স্টার
জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমের মৃত্যুর ঘটনাটি সুস্পষ্ট হত্যাকাণ্ড বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশীদ। এ ঘটনায় সরাসরি সংশ্লিষ্টতা থাকায় ইতোমধ্যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
 
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। হারুন অর রশীদ বলেন, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আট থেকে নয় জন লোক মিলে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করছেন। কেউ মাথায়, কেউ বুকে আঘাত করেছেন। আনিসুল করিমের হাত বাঁধতেও দেখা গেছে। তারা সবাই হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়, ক্লিনার, এখানে কেউ চিকিৎসক ছিলেন না। তাই আমাদের কাছে মনে হয়েছে এটি স্পষ্ট হত্যাকাণ্ড।
 
তিনি বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং সিসিটিভি ফুটেজে উপস্থিত ১০ জনের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে।
 
ASP_Anisul_Killing1_10Nov20.jpg
জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১০ আসামি। ছবি: সংগৃহীত
 
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন— মাইন্ড এইড হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কিচেন শেফ মাসুদ, ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, লিটন আহাম্মদ, সাইফুল ইসলাম পলাশ ও ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান।
 
এএসপি আনিসুল বরিশালে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু কয়েক দিন ধরে তিনি বেশ চুপচাপ থাকছেন লক্ষ্য করে পরিবারের সদস্যরা তাকে শ্যামলীতে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। কিন্তু কী এমন হলো যে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাকে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলো তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তাকে নাম সর্বস্ব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মাঝখানে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের বিষয়ে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। সরকারি হাসপাতালের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে— বলেন হারুন অর রশীদ।
 
তিনি আরও বলেন, মাইন্ড এইড হাসপাতালে মানসিক রোগের চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলা হলেও তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনো বৈধ কাজগপত্র দেখাতে পারেনি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুমোদন নেই তাদের। কোনো চিকিৎসক ছাড়াই হাসপাতালটি পরিচালনা করা হচ্ছিল। হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের কেউ চিকিৎসক নন।
 

Comments

The Daily Star  | English

Police struggle as key top posts lie vacant

Police are grappling with operational challenges as more than 400 key posts have remained vacant over the past 10 months, impairing the force’s ability to combat crime. 

6h ago