শেষ সময়ের ট্রাম্প আতঙ্ক
ট্রাম্পের ক্ষমতায় থাকার মতোই ক্ষমতা হস্তান্তর অস্থির হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। কারো মনে প্রশ্ন, ট্রাম্প কি আদৌ ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন? আর যদিও বা তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তাহলে তা কতটা ধ্বংসাত্মক, প্রতিহিংসামূলক ও হট্টগোলের মধ্য দিয়ে হবে তা নিয়েও আশঙ্কা অনেকের।
আজ মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র প্রতিবেদনে এসব বলা হয়।
প্রতিবেদন মতে, নির্বাচন মেনে নিতে ট্রাম্পের আপত্তি, বিভ্রান্তিকর টুইট, বেসরকারিভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেনকে মেনে না নেওয়া ইত্যাদি ঘটনায় এমন প্রশ্ন জেগেছে।
এখন হয়তো ট্রাম্পকে অনেকেই ধর্তব্যের মধ্যে নেবেন না। কিন্তু, মনে রাখতে হবে, নিয়ম অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় আগামী ২০ জানুয়ারি দুপুর পর্যন্ত তিনিই ক্ষমতায় থাকছেন। তার হাতে থাকছে প্রাতিষ্ঠানিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা।
তাই ধারণা করা হচ্ছে, হোয়াইট হাউস ছেড়ে সাধারণ জীবনে ফিরে যাওয়ার আগে ট্রাম্প অনেক পানি ঘোলা করতে পারেন।
দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার গতকাল প্রসিকিউটরদের বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগগুলো পরীক্ষা করে দেখা উচিত। তার এই ঘোষণার পর অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে ক্ষমতা বলে ট্রাম্প ভোটারদের ইচ্ছার প্রতিফলন বদলে দিতে পারেন।
তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতো অ্যাটর্নি জেনারেল অনিয়মের কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
ততক্ষণে অ্যাটর্নি জেনারেলের মন্তব্যের জেরে পদত্যাগ করেছেন দেশটির জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের শীর্ষ নির্বাচন অপরাধবিষয়ক প্রসিকিউটর রিচার্ড পিলগার।
প্রাথমিক ফলাফলে বাইডেন বিজয়ী হওয়ার পরপরই ট্রাম্প তার প্রশাসনে ‘শত্রু’ খুঁজে বের করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেন।
ইতোমধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারকে বরখাস্ত করেছেন ট্রাম্প। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক ইচ্ছার প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল নন।
ট্রাম্প প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সিএনএন’কে বলেন, এরপর সিআইএ’র পরিচালক জিনা হাসপেল ও এফবিআই’র পরিচালক ক্রিস্টোফার রে’কেও বরখাস্ত করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন মার্ক ইসপার।
আরও পড়ুন:
অনিয়ম-বিষয়ক মতবিরোধে শীর্ষ নির্বাচন অপরাধ প্রসিকিউটরের পদত্যাগ
Comments