এএসপি আনিসুলের মৃত্যু: যথাযথ তদন্ত ও বিচার নিশ্চিতের দাবি আইন ও সালিশ কেন্দ্রের

ASP_Anisul.jpg
জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম | ছবি: সংগৃহীত

মানসিক সমস্যায় ভুগে রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই মারা যান জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম।

পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ভর্তির পরপর হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। অন্যদিকে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় পুলিশ কর্মকর্তাকে শান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে।

এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে যথাযথ তদন্ত ও বিচার নিশ্চিতের জোর দাবি জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আসক জানায়, গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ৯ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আনিসুল করিমকে তার পরিবার মানসিক সমস্যার চিকিৎসার জন্য মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এসময় কয়েকজন কর্মচারী তাকে হাসপাতালের দোতলায় নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরই পরিবারকে আনিসুল অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন জানানো হয়। এরপর তাকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানে চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তী সময়ে পুলিশ কর্তৃক সংগৃহীত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তাকে হাসপাতালের ছয় জন কর্মচারী মিলে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেছেন। আরও দেখা যায়, তার পা চেপে ধরে মাথার দিকে থাকা দুজন কর্মচারী হাতের কনুই দিয়ে তাকে আঘাত করেছেন। এসময় কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুলের হাত পেছনে বাঁধা হয়।

এতে বলা হয়, বিগত কয়েক দশকে দেশে বেসরকারি পর্যায়ে অনেক মানসিক হাসপাতাল গড়ে উঠেছে, যা এ সংক্রান্ত চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতি। তবে এসব হাসপাতালের সেবার মান ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা প্রশ্ন বা অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান রয়েছে, যা এ ঘটনায় আরও দৃশ্যমান হয়ে উঠল।

এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে আসক।

একইসঙ্গে আসক মানসিক চিকিৎসাসেবা প্রদানের সঙ্গে জড়িত হাসপাতালসমূহের সেবা কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও জবাবদিহিতার আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
consensus commission bicameral parliament proposal

Consensus commission: Talks stall over women’s seats, upper house

The National Consensus Commission proposed establishing an upper house comprising elected representatives from each district and city corporation, and suggested abolishing the current system of reserved seats for women in parliament.

5h ago