বলিউডে বাংলাদেশি শিল্পীদের যত গান
বলিউড সিনেমায় হিন্দি গান গেয়েছেন বাংলাদেশের কয়েকজন শিল্পী। তাদের গানগুলো পেয়েছে শ্রোতপ্রিয়তা। গানের যে কোনো কাঁটাতার বা সীমানা নেই প্রমাণিত হয়েছে বারবার।
বলিউডে প্লেব্যাক করা শিল্পীদের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে রুনা লায়লার নাম। ১৯৭৬ সালে বিখ্যাত সংগীতপরিচালক কল্যাণজি-আনন্দজির সুরে ‘এক সে বাড়কার এক’ সিনেমার আইটেম গানে প্রথম কণ্ঠ দেন রুনা।
এরপর তিনি ভূপিন্দর সিংয়ের সঙ্গে ‘ঘরোন্দা’ ছবিতে ‘দো দিওয়ানে শেহের মে’ গান করেন।
মোহম্মদ রফির সঙ্গে ‘জান-ই-বাহার’ সিনেমার রুনার গাওয়া ‘মার গায়ো রে’ গানটি বেশ আলোচিত হয়।
এছাড়াও, রুনা বলিউডে ‘ও মেরা বাবু ছেলছাবিলা মে তো নাচুঙ্গি’, ‘সাপনো কা মান্দির’, ‘অ্যায় দিলওয়ালে আও’ ও ‘কাহো সাখি কাহো’ গেয়েছেন।
বাংলাদেশের আরেক জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী প্রয়াত এন্ড্রূ কিশোর প্লেব্যাক করেছিলেন আরডি বর্মণের সুরে। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজিত প্রমোদ চক্রবর্তীর পরিচালনায় ‘শত্রু’ সিনেমায় গান করেন তিনি।
গীতিকার মাজরু সুলতানপুরির লেখা ‘সুরেজ চান্দা’, ‘মে তেরি বিসমিল হু’ গান দুটি মুগ্ধ করেছিল শ্রোতাদের।
বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী মিতালী মুখার্জি ১৯৮৭ সালে হিন্দি সিনেমায় গান করেন। বাপ্পী লাহিড়ীর সুরে রাজ সিপ্পির পরিচালনায় ‘সত্যমে জয়তে’ ছবিতে ‘তু জান সে পেয়ারা হ্যায়’ প্লেব্যাকটি করেন তিনি। ভূপিন্দর সিংকে বিয়ে করে মিতালী বর্তমানে ভারতে বসবাস করছেন।
বাংলাদেশের মাহফুজ আনাম জেমস ২০০৫ সালে বলিউড সুরকার প্রীতমের সুরে অনুরাগ বসুর পরিচালনায় ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমায় ‘ভিগি ভিগি রাতে’ গানে প্রথম কণ্ঠ দেন। গানটি শ্রোতাদের ব্যাপক মুগ্ধ করে।
এরপর ২০০৬ সালে জেমস ‘ও লামহে’ ও ২০০৭ সালে ‘লাইফ ইন অ্যা মেট্রো’ সিনেমায় ‘আলবিদা’, ‘রিশতে’ ও ‘চাল চালে আপনে ঘার’ গানে অংশ নেন। ২০১৩ সালে ‘ওয়ার্নিং’ ছবির ‘বেবাসি’ গানটি গেয়েছিলেন তিনি।
Comments