'ইব্রাহিমোভিচ দেখিয়েছেন ফুটবলে বয়স কোনো ব্যাপার নয়'
ইতালির শীর্ষ লিগ সিরি আয় চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতার নাম জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। অথচ গত মৌসুমে এসি মিলানে ফিরে আসা এ তারকার বয়স ৩৯ ছাড়িয়েছে। এ বয়সেও দেখাচ্ছেন বুড়ো হাড়ের ভেল্কি। তার অতিমানবীয় পারফরম্যান্সে মুগ্ধ দলের তরুণ তুর্কি ব্রাহিম দিয়েজ।
যে বয়সে সবাই বুট জোড়া তুলে রাখেন সে বয়সে দাপটের সঙ্গেই খেলেছেন ইব্রাহিমোভিচ। যদিও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়াও বেশ কয়েকটি ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি এ সুইডিশ। এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৫টি ম্যাচ। তাতেই ৮ গোল দিয়ে সবার শীর্ষে। তার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ দিয়েজ তুত্তোস্পোর্তকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'তিনি (ইব্রাহিমোভিচ) দেখিয়েছেন ফুটবলে বয়স কোনো ব্যাপার নয়।'
মজার ব্যাপার দিয়েজের বাবার বয়সও ৩৯ বছর। অথচ এ বয়সেও দলের সেরা তারকা ইব্রা। বাবার বয়সী এ খেলোয়াড়ের কাছ থেকে যথাসম্ভব পরামর্শ নিচ্ছেন এ তরুণ, 'তার বয়স আমার বাবার বয়সের সমান। কিন্তু তিনি এখনও পার্থক্য গড়ে দিতে চালিয়ে যাচ্ছেন... আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সে আমাকে ভালো পরামর্শ দেয় এবং আমরা একত্রে খুব ভালো আছি। আমরা জয়ের ব্যাপারে কথা বলি।'
রিয়াল থেকে মিলানে আসার পর দারুণ খেলছেন দিয়েজও। সব প্রতিযোগিতা মিলে ৮ ম্যাচে মাঠে নেমে করেছেন ৩টি গোল। পাশাপাশি করিয়েছেন ১টি। কিন্তু তারপরও ইব্রাহিমোভিচকে সন্তুষ্ট করতে পারেননি তিনি। দিয়েজের ভাষায়, 'নিজের কাজটা করাই সবসময় সবকিছু নয়। আপনাকে অবশ্যই তার সঙ্গে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। আমাকে তিনি বলেছেন, "তোমার কাজ এখনও শেষ হয়নি, তোমাকে অবশ্যই আমাকে পেছনে ফেলতে হবে।" সে অনেক বেশি চায় এবং আপনাকে তার জন্য অনেক উন্নতি করতে হবে।'
দারুণ সম্ভাবনা থাকলেও এ মৌসুমে রিয়ালের মূল দলে জায়গা হয়নি দিয়েজের। ধারে ইতালিতে পাঠিয়ে দেয় স্পেনের ক্লাবটি। তাতে কোনো খেদ নেই এ তরুণের। আপাতত মিলানকে নিয়েই ভাবতে চান এ স্প্যানিশ তরুণ, 'মাদ্রিদে আমি ভালো ছিলাম, তবে এখন আমি আমার সেরাটা দিচ্ছি। দেখাতে চাই আমি কি করতে পারি। আমি মিলানেই ফোকাস রাখতে চাই। শহরটি খুব সুন্দর, সবাই খুব বন্ধুসুলভ। আমি খুব সহজেই মানিয়ে নিয়েছি।'
Comments