অসময়ে বাড়ছে ডেঙ্গু

চলতি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তীব্রভাবে বেড়ে যাচ্ছে। ফলে দেশে পুনরায় ডেঙ্গুর সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গত বছরের তুলনায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পায়। তবে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে নভেম্বরে। সাধারণত নভেম্বর থেকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকে।

গত মাসে ১৬৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অপরদিকে, চলতি মাসের প্রথম ১১ দিনে ১৬৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে।

সেপ্টেম্বরে প্রায় ৪৭ জন এবং আগস্টে ৬৮ জন ডেঙ্গু রোগী রেকর্ড করা হয়েছিল।

জানুয়ারি মাসে ১৯৯ জন এবং ফেব্রুয়ারিতে ৪৫ জন আক্রান্ত হলেও মার্চ থেকে জুলাই মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০ এর নিচে।

জানুয়ারি থেকে শুরু করে গতকাল বুধবার পর্যন্ত মোট ৭৯২ জন রোগীকে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য থেকে জানা যায়, সম্ভাব্য প্রতি পাঁচ জনে একজন ডেঙ্গু রোগী মারা যান বলে জানতে পেরেছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু মৌসুম দীর্ঘায়িত হচ্ছে এবং এটি আর মৌসুমি ভাইরাস নেই।

গত বছর দেশে এক লাখেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় এটি একটি সমালোচনামূলক পরিস্থিতি তৈরি করে। এডিস এজিপ্টি আলবোপিক্টাসের মতো প্রজাতির মশার কামড়ের ডেঙ্গু ভাইরাস মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়।

বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ সাধারণত জুনে সবচেয়ে বেশি থাকে। কারণ এ সময় বেশি তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, মশা বেঁচে থাকলে বছরের যেকোনও সময় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিতে পারে।

উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা পোকামাকড়কে বেঁচে থাকার জন্য সহায়ক এবং এতে করে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।

Comments

The Daily Star  | English

Barishal University VC, pro-VC, treasurer removed

RU Prof Mohammad Toufiq Alam appointed interim VC

1h ago