‘একটা ছিল সোনার কন্যা’ গানের অজানা কথা

আজ ১৩ নভেম্বর নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের ৭২তম জন্মদিন। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জন্মেছিলেন এই গল্পের জাদুকর। গল্প-উপন্যাস, টেলিভিশন নাটক, চলচ্চিত্র ও গানের মাঝেই বেঁচে থাকবেন তিনি।
Humayun Ahmed
হুমায়ূন আহমেদ। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

আজ ১৩ নভেম্বর নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের ৭২তম জন্মদিন। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জন্মেছিলেন এই গল্পের জাদুকর। গল্প-উপন্যাস, টেলিভিশন নাটক, চলচ্চিত্র ও গানের মাঝেই বেঁচে থাকবেন তিনি।

খুব বেশি সংখ্যক গান না লিখেও গীতিকার হিসেবে শ্রোতাদের কাছে সমাদৃত হুমায়ূন আহমেদ। তার পরিচালিত পাঁচটি ছবির সংগীতপরিচালক হিসেবে ছিলেন মকসুদ জামিল মিন্টু। ছবিগুলো হলো: ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘দুই দুয়ারী’ ও ‘ঘেটুপুত্র কমলা’।

হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে মকসুদ জামিল মিন্টু ’একটা ছিল সোনার কন্যা' গানের অজানা কথা জানিয়েছেন দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে।

গানটি প্রসঙ্গে মকসুদ জামিল মিন্টু বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ “একটা ছিল সোনার কন্যা” গানটা প্রথমে এমনিতেই লিখেছিলেন। “শ্রাবণ মেঘের দিন” ছবির জন্য লিখেননি কিন্তু। তিনি একদিন আমাকে গানটা সুর করতে বললেন। মাঝে কয়েকদিন কেটে গেছে। গানটি সুর করার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম।’

‘এটা সম্ভবত ১৯৯৮ সালের দিকের কথা। একদিন শান্তিনগরের “সাসটেইন” রেকর্ডিং স্টুডিও থেকে ফোন এলো। আমাকে বলা হলো, হুমায়ূন স্যার এসেছেন আপনি কোথায়? আমি বললাম, তিনি কেন এসেছেন? আমি ভুলেই গিয়েছিলাম গানটির কথা। সেদিন গানটি রেকর্ড করার জন্য স্টুডিও বুকিং দিয়ে রেখেছিলাম। এদিকে গানটির সুর করা হয়নি। কী করি, কী করি ভাবছিলাম। পকেটে রাখা গানটি খুঁজে পেলাম। স্টুডিওতে এসে দেখি গানটির কণ্ঠশিল্পী সুবীর দা (সুবীর নন্দী) বসে আছেন। আমার খুব মন খারাপ হচ্ছিল গানটির কথা ভুলে যাওয়ার কারণে।’

‘পরে স্টুডিওতে বসেই এক লাইন এক লাইন করে পুরো গানটি সুর করি। সুবীর দা সেদিনই গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন।’

‘চোখ বন্ধ করলেই সেদিনের স্মৃতিগুলো দেখতে পাই। ১৯৯৯ সালে মুক্তি পাওয়া “শ্রাবণ মেঘের দিন” ছবির এই গানটির জন্য সুবীর নন্দী এবং সুর ও সংগীত পরিচালনায় আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি।’

হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে মকসুদ জামিল মিন্টু আরও বলেন, ‘প্রায় ২১ বছর তার সঙ্গে কাজ করেছি। “কোথাও কেউ নেই” নাটক দিয়ে শুরু।’

‘আমি যেহেতু গান করি তাই গান নিয়েই বলি। হুমায়ূন আহমেদ একজন বড়মাপের গীতিকার ছিলেন। মানুষের ভেতরের অব্যক্ত কথা তিনি বুঝতে পারতেন। তার পরিচালনায় শেষ ছবি ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ জন্য গান করেছিলাম। গানটি হলো ‘বাজে বংশী, রাজহংসী নাচে হেলিয়া দুলিয়া’। প্রথমে গানের একটি লাইন লিখে ফোনে বলেছিলেন। পরে পুরো গানটি লিখেন তিনি। গান সুর করার আগে তিনি গানের দৃশ্য বুঝিয়ে দিতেন।’

‘তাকে শুধু বিশেষ দিনে নয় সবদিনেই মনে পড়ে,’ যোগ করেন মকসুদ জামিল মিন্টু।

Comments

The Daily Star  | English
Depositors money in merged banks

Depositors’ money in merged banks will remain completely safe: BB

Accountholders of merged banks will be able to maintain their respective accounts as before

4h ago