মৃত ব্যক্তির নামে ভোট দেওয়ার অভিযোগ ট্রাম্পের, প্রমাণ পাননি কর্মকর্তারা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে জো বাইডেন বিজয়ী হলেও ভোট জালিয়াতির অভিযোগে ফল মেনে নেননি বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সহযোগীরা।
গত বুধবার ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির এক টুইটে জানায়, জর্জিয়ায় মৃত চার নাগরিকের নামে ভোট জমা পড়েছে।
জর্জিয়া রাজ্যে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। গণমাধ্যম ফক্স নিউজ তা প্রচার করেছে।
এদিকে, কাউন্টি কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যম সিএনএন’কে জানিয়েছে, ওই চার জনের মধ্যে দুই জনের নামে ২০২০ সালে কোনো ভোট জমা পড়েনি। কর্মকর্তারা অন্য দুই নাম নিয়ে অনুসন্ধান করছেন।
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের তালিকায় থাকা চার জনের মধ্যে একজন জর্জিয়ার নিকোলসনের বাসিন্দা। কাউন্টির নির্বাচন পরিচালক জেনিফার লোগান সিএনএন’কে জানিয়েছেন, গত সপ্তাহের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে ওই মৃত ব্যক্তির পরিচয় ব্যবহার করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ এসেছে তা ‘সত্য নয়’।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই নাগরিক মারা যাওয়ার পর ২০০৩ সালেই তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। তবে, একই নামের অন্য একজন এ বছর কাউন্টিতে আইন অনুয়ায়ী ভোট দিয়েছেন। তাদের নামের বানানে কিছুটা পার্থক্য আছে।
তালিকাভুক্ত চার জনের মধ্যে অন্য একজন জর্জিয়ার নিউটন কাউন্টির বাসিন্দা। সেখানকার নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদ সিএনএন’কে জানিয়েছে, সেই ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর ২০২০ সালে তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিল জনসন সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, ‘ওই মৃত ব্যক্তির স্ত্রী শুরুতে “মিসেস” লিখে তার স্বামীর নাম ব্যবহার করে ব্যালট জমা দেন। সেখান থেকেই বিভ্রান্তির জন্ম।’
কর্মকর্তারা ট্রাম্প প্রচারণা শিবিরের তালিকাভুক্ত আরও দুটি নাম যাচাই করে দেখছেন বলে সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জর্জিয়ায় প্রায় ৫০ লাখ ভোটের মধ্যে ১৪ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন বাইডেন।
এ সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে জর্জিয়ার ভোটিং সিস্টেম ইমপ্লিমেন্টেশন ম্যানেজার গ্যাব্রিয়েল স্টার্লিং জানিয়েছেন, ভোট জালিয়াতির সমস্ত অভিযোগ তদন্ত করতে সেক্রেটারি অব স্টেট অফিস বদ্ধপরিকর।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে আসা প্রতিটি অভিযোগ তদন্ত করা হবে।’
Comments