কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের গোলাগুলিতে নিহত অন্তত ১৪

কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলিতে কমপক্ষে ১০ বেসামরিক নাগরিক ও চার সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।
INDIA-PAKISTAN.jpg
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের গোলাগুলিতে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছেন স্থানীয়রা। ছবি: রয়টার্স

কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলিতে কমপক্ষে ১০ বেসামরিক নাগরিক ও চার সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।

দুই দেশের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার রয়টার্স চলতি বছরের সবচেয়ে মারাত্মক এ গোলাগুলির খবর জানিয়েছে।

শ্রীনগর ও নয়াদিল্লির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অব কন্ট্রোল) দিয়ে পাকিস্তানের উত্তর কাশ্মীর থেকে সেনা অনুপ্রবেশের সময় ভারতীয় সেনারা গোলাবর্ষণ শুরু করে।

তবে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হয়নি।

ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, গোলাগুলিতে ছয় বেসামরিক নাগরিক, তিন সেনা ও একজন সীমান্তরক্ষী নিহত হয়েছেন।

পাকিস্তানের কর্মকর্তারা জানান, সেখানে চারজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

ভারতীয় কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন যে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই কাশ্মীরের পূর্ণ অধিকার দাবি করে। দিল্লি দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এ এলাকায় উত্তেজনা তৈরির অভিযোগ আনলেও, পাকিস্তান বার বার তা অস্বীকার করেছে।

ভারতীয় ও পাকিস্তানি সেনারা পাহাড়ি সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত গোলাগুলি করে থাকে। তবে, শুক্রবারের এই গোলাগুলি বেশ ভয়াবহ ছিল বলে ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান।

উভয় পক্ষই সেখানে বেসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণের অভিযোগ এনেছে।

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কর্মকর্তা সৈয়দ শহীদ কাদরি বলেন, ‘যথারীতি তারা বিনা প্ররোচনায় বেসামরিক এলাকায় হামলা চালায়। সেখানে নিহতদের মধ্যে একজন নারী ছিলেন এবং ২৭ জন আহত হয়েছেন।’

কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত গোলাগুলি অব্যাহত ছিল।

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উরির কর্মকর্তা মুখতার আহমদ বলেন, ‘সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলে তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।’

‘বেশ কয়েকটি পরিবার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে উরি শহরে আশ্রয় নিয়েছে’, বলেনি তিনি।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ভারত ও পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে গুলি বিনিময়ে দুই দেশের ৪০ জনেরও বেশি বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Don’t stop till the dream comes true

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday urged key organisers of the student-led mass uprising to continue their efforts to make students’ and the people’s dream of a new Bangladesh come true.

2h ago