নারায়ণগঞ্জে ডাকাত আখ্যা দিয়ে ৩ পুলিশকে মারধর
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ডাকাতির মামলায় পলাতক আসামি ধরতে যাওয়া একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক সহ তিন পুলিশ সদস্যকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার ভোরে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি পশ্চিম পাড়া এলাকায় মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়ার কথা বলা হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় আহত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. নুরুজ্জামান বাদী হয়ে রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা, মারধর, ও পুলিশ সদস্যকে হত্যার হুমকির অভিযোগে মামলা করেন। ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলায় আরও ৩০ থেকে ৪০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে এএসআই নুরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ‘আসামি বিল্লাল হোসেন ওরফে বিল্লাল ডাকাত জালকুড়ি পশ্চিমপাড়া আমিনুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান করছেন আমাদের কাছে এমন তথ্য ছিল। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমিনুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে আসামি বিল্লাল আছে কিনা জানতে চাই। ঘরের দরজা না খুলে বাড়ির মালিক আমিনুল ফোন করে স্থানীয় মসজিদে জানায় বাড়িতে ডাকাত পড়েছে। এর পরই ৩০ থেকে ৪০জন লোক লাঠি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে খবর পেয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ সদস্যরা গিয়ে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার পরনে পুলিশের পোশাক ও অস্ত্র ছিল। আমি তাদের বার বার বলেছি আমি আসামি ধরতে এসেছি, আমি ডাকাত না। প্রয়োজনে ওসি স্যারকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু তারা সেটা না শুনে ডাকাত আখ্যা দিয়ে টেনে হিঁচড়ে মারধর করতে শুরু করে।’
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশ সদস্যকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় চার জনকে আটক করা হয়েছে। পরে মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জালকুড়ি পশ্চিম পাড়ার মো. আমিনুল ইসলাম, একই এলাকার মারুফ খান, মো. ওয়াসিম ও গোদনাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকার সামসুজ্জামান।
Comments