যুবলীগের ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি, নিক্সন চৌধুরী প্রেসিডিয়াম সদস্য
আওয়ামী যুবলীগের ২০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এর আগে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল এই পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রস্তাব আকারে উত্থাপন করেন। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
যুবলীগের কমিটিতে ২৭ জন প্রেসিডিয়াম সদস্যের মধ্যে ২২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পাঁচটি পদ ফাঁকা রয়েছে। এই ২২ জনের মধ্যে রয়েছেন, অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, আবু আহমেদ নাসিম পাভেল, শেখ সোহেল উদ্দিন, ডা. খালেদ শওকত আলী, শেখ ফজলে ফাহিম, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, তাজউদ্দিন আহমেদ, জুয়েল আরেং, আনোয়ার হোসেন, শাহাদাত হোসেনসহ অন্যরা।
কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন পাঁচ জন। তারা হলেন- বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মো. বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম ও মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার।
সংগঠনের ৯ সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন, কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মো. শহিদুল হক রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাডভোকেট মো. শামীম আল সাইফুল সোহাগ ও প্রফেসর ড. মো. রেজাউল কবির।
এছাড়া ২১ জনকে বিভিন্ন দপ্তরের সম্পাদক ও ২১ জনকে দপ্তরগুলোতে উপসম্পাদক পদ দেওয়া হয়েছে। ৪১ জনকে দেওয়া হয়েছে সহসম্পাদকের পদ, ৭৫ জন রয়েছেন নির্বাহী সদস্য।
গত বছর অনুষ্ঠিত সপ্তম কংগ্রেসে শেখ ফজলে শামস পরশকে যুবলীগের চেয়ারম্যান ও মাইনুল ইসলাম খান নিখিলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মণির নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক যুব কনভেনশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করে যুবলীগ।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয় এই সংগঠন। গত চার দশকের বেশি সময় ধরে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও হাজারো নেতা-কর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে যুবলীগ আজ দেশের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
Comments