কুয়াকাটায় ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’ চালু
শীত মৌসুমে করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণের আশঙ্কায় পটুয়াখালীর পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’ (মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নয়) সার্ভিস চালু করা হয়েছে। ‘নিজে নিরাপদ থাকুন ও অপরকে নিরাপদ রাখুন’ এবং ‘ঘন ঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন’— এ শ্লোগান নিয়ে কুয়াকাটা সৈকতে ঘুরে ঘুরে মাইকিং করছে টুরিস্ট পুলিশ।
এ ছাড়া, পর্যটকদের জন্য মাস্ক ছাড়া সৈকতে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া আগত পর্যটকদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
পিরোজপুর থেকে আগত পর্যটক মেহেদি হাসান বলেন, ‘আমরা মাস্ক না পরে সৈকতে যাওয়ার চেষ্টা করি। সে সময় পুলিশের বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছে। পরে দোকান থেকে মাস্ক কিনে সৈকতে যাই।’
বরিশাল থেকে আগত পর্যটক তামিম ইকবাল বলেন, ‘শীত মৌসুমে করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। আর এ সংক্রমণ মোকাবিলায় টুরিস্ট পুলিশ ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর ফলে কিছুটা হলেও সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। সবার সুস্থ থাকার জন্যই মাস্ক ও ঘন ঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা উচিত।’
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. বদরুল কবির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আগত পর্যটকদের মাস্ক ও ঘন ঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে মাইকিং করা হচ্ছে। শীত মৌসুমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে, অনেক পর্যটকরা এ নিয়ম মানছেন না। এ জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হলে এর সুফল পাওয়া যাবে।’
এদিকে কুয়াকাটার পার্শ্ববর্তী কলাপাড়া পৌরশহরে মাস্ক না পরে করে ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে এক ব্যবসায়ীসহ চার পথচারীকে দুই হাজার দুই শ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বিকেলে শহরের সদর রোড এলাকায় এ জরিমানা করা হয় । সে সময় সচেতনতা বাড়াতে এক শ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণও করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎজীবন মন্ডল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শীত মৌসুমে করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ আগত পর্যটকদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়।’
Comments