নারায়ণগঞ্জে পাসপোর্ট অফিসে ভাঙচুর, আটক ১

নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগে আজমল হোসেন নামে কানাডা প্রবাসী এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগে আজমল হোসেন নামে কানাডা প্রবাসী এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার দুপুরে সদর উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটরের রুমে ওই ঘটনা ঘটে।

পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, পাসপোর্টের জন্য যেসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়িত করা ছিল না আজমলের। এমনকি ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার রশিদও ছিল না। এ নিয়ে অফিসে তর্ক-বিতর্ক থেকে তিনি ভাঙচুর করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আজমলের স্ত্রীর দাবি, কাগজপত্রে ভুল থাকার অজুহাত দেখিয়ে এর আগেও একবার তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাদের কথা অনুযায়ী কাগজপত্র সংশোধন করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবুও তারা কাগজপত্রে সমস্যা থাকার কথা বলেন। এ নিয়ে বচসার এক পর্যায়ে আমার স্বামী কাঁচে ধাক্কা দিলে সেটি ভেঙে যায়। কাউকে মারধরের ঘটনা ঘটেনি। 

নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সাড়ে ১২টার দিকে আজমল হোসেন পাসপোর্ট করানোর জন্য ওই অফিসে যায়। সেখানে কাগজপত্রে কিছু ভুল থাকায় একজন কর্মকর্তা তাকে যাচাই করার জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি রেগে যান। এসময় দুইজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে আজমল রেগে গিয়ে কাঁচে থাপ্পড় দিয়ে ভেঙে ফেলেন। ভাঙা গ্লাসের টুকরা কর্মকর্তার হাতে লেগে কেটে যায়। পাসপোর্ট অফিস থেকে অভিযোগ পেয়ে আজমলকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।’

তবে এই ঘটনায় আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলেও জানান ওসি।

নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. মাহামুদুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আজমল হোসেন তার মেয়ের জন্য পাসপোর্ট করাতে এসেছিলেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়িত ছিল না। এমনকি ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার রশিদও ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘এর আগেও এই ব্যক্তি তার স্ত্রীর পাসপোর্ট করাতে এসে দুর্ব্যবহার করেছিলেন। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। প্রস্তুতি চলছে।’

সরেজমিনে কম্পিউটার অপারেটরের ঘরে কাঁচ ভেঙে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। মেঝেতে কয়েক ফোট রক্তের দাগও দেখা যায়।

আজমল হোসেনের স্ত্রী মাকসুদা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিন মাসের বাচ্চাসহ আমি ও আমার স্বামী পাসপোর্ট করার জন্য গিয়েছিলাম। এর আগেও একবার গিয়েছিলাম। তখন বলেছিল কাগজপত্রে ভুল আছে। তখন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজকেও তারা বলছে কাগজপত্রে সমস্যা। এর জন্য আমার স্বামী রেগে গিয়েছিলেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। তবে আমার স্বামী কাউকে মারধর কিংবা ভাঙচুর করেনি। গ্লাসটাও ইচ্ছা করে ভাঙেনি।’

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

2h ago