সাতক্ষীরায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা।
আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তার ওপর এই হামলা চালানো হয়।
ধারালো চাপাতি ও চাকুর আঘাতে মাথায় ক্ষতের সৃষ্টি হওয়ায় চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমকে রাত ৮টার দিকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বলেন, ‘সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমি আরও তিন জনের সঙ্গে পরিষদ ভবনে ছিলাম। বাকিরা পরিষদের সভাকক্ষে ছিল, আর দাপ্তরিক কাজ করছিলাম কম্পিউটারে। এ সময় আট-নয়টি মোটরসাইকেল ১৫-১৬ জন বোরকা পরিহিত মানুষ দ্রুত আমার কক্ষে প্রবেশ করেই আমাকে উদ্দেশ্য করে এক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে তারা চাপাতি ও চাকু নিয়ে হামলা চালায়।’
তিনি জানান, তারা তার মাথার বাম পাশে চাপাতি ও চাকু দিয়ে আঘাত করে। রড দিয়ে তার মুখে ও শরীরের বিভিন্ন অংশেও আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমের ভাইয়ের ছেলের মামুন হোসেন বলেন, ‘তাৎক্ষনিকভাবে অ্যাম্বুলেন্সে করে সঙ্গাহীন অবস্থায় চাচাকে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।’ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘মাথা ও মুখে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন তিনি। তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালিয়েছে। আমি দলীয় কোনও পদে না থাকলেও আওয়ামীলীগের সক্রিয় কর্মী।’
শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক বলেন, ‘আব্দুর রহিম দলীয় কোনও পদে নেই। তবে তিনি আওয়ামী লীগ করেন।’
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা বলেন, ‘হামলার ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে আহত চেয়ারম্যানের অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়। হামলার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
Comments