দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করবে জাপান

হত্যা-নির্যাতন থেকে বাঁচতে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা। ফাইল ফটো এএফপি

ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নওকি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মস্থান রাখাইন রাজ্যে শিগগিরই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে তার দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।

রাজধানীতে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘জাপান দ্রুত প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ করবে।’

রাষ্ট্রদূত আরও উল্লেখ করেন যে, এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ও আসিয়ান দেশগুলোর মতো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতা এবং পরবর্তী ধাপ হিসেবে আস্থা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ।

ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে (ডিএসসিএসসি) অধ্যয়নরত সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে জাপান ও বাংলাদেশের ৫০ বছরের বন্ধুত্ব নিয়ে এক অনলাইন লেকচারে রাষ্ট্রদূত ইতো নওকি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. একে আব্দুল মোমেন সম্প্রতি বলেছিলেন যে, ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগণের বিষয়টি ফেলে রাখলে এবং তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ না দেওয়া হলে, তারা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলবে।

মিয়ানমার সরকারের প্রতি রোহিঙ্গাদের ‘আস্থার অভাবের’ কারণে ২০১৮ সালের নভেম্বর এবং ২০১৯ সালের আগস্টে তাদের প্রত্যাবাসনের দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমার প্রত্যাবাসন বিষয়ে ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। পরে রোহিঙ্গাদের জন্মভূমিতে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি ‘ভৌত বিলিব্যবস্থা’ সম্পর্কিত একটি নথিতে স্বাক্ষর করে।

বাংলাদেশের সমৃদ্ধি অর্জন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে জাপান কীভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে, তাও তুলে ধরেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।

অনুষ্ঠানে ডিএসসিএসসি’র মাস্টার্স প্রোগ্রামের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে দুই দেশের মধ্যকার বর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্ক, বিগ-বি’র অধীনে মানসম্পন্ন অবকাঠামো প্রকল্প এবং ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক (এফওআইপি) বিষয়ে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির কথা বর্ণনা করেন।

তিনি টোকিও অলিম্পিক ২০২১ এবং ২০২২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরের সুযোগ কাছে লাগিয়ে দুদেশের মানুষের মাঝে যোগাযোগ বাড়াতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি জাপান মেরিটাইম সেলফ ডিফেন্স ফোর্স এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মধ্যকার সহযোগিতা নিয়ে আলাপ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

How Chattogram built its economic legacy

Picture a crowded harbour where the salty seabreeze carries whispers of far-off lands, where merchants of all creed and caste haggle over silks and spices, and where towering ships of all varieties – Chinese junks, Arab dhows, and Portuguese carracks – sway gently in the waters of the Bay of Bengal.

12h ago