সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ের সাক্ষাৎকার

‘বাবা সুস্থ হয়ে ডুয়ার্সের চা বাগানে যেতে চেয়েছিলেন’

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ইচ্ছে ছিলো করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ডুয়ার্সের চা বাগানের নিরিবিলি পরিবেশে কিছুটা সময় কাটাবেন।
বাবা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পৌলমী বসু। ছবি: সংগৃহীত

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ইচ্ছে ছিলো করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ডুয়ার্সের চা বাগানের নিরিবিলি পরিবেশে কিছুটা সময় কাটাবেন।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে পৌলমী বসু দ্যা ডেইলি স্টারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় বাবার শেষ দিনগুলোর কথা মুঠোফোনে শেয়ার করেন।

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে দেশেব্যাপী লকডাউনের কারণে বাবা বেশ হতাশ ছিলেন। তিনি মানতে পারছিলেন না এই লকডাউন। তিনি কাজ খরার জন্য উন্মুখ হয়েছিলেন। তাই যখন লকডাউন একটু শিথিল করা হলো তিনি কাজ শুরু করে দিলেন। আমরা আপত্তি করেছিলাম, কিন্তু তিনি শোনেননি।

‘বাবা খুব করে চাচ্ছিলেন একটু ঘুরে আসতে। প্রকৃতির সঙ্গে নিরিবিলি কিছুটা সময় কাটাতে। বাবার বন্ধু হররাম কাকুর চা বাগান আছে উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সে। বাবা কথাও বলেছিলেন কাকুর সঙ্গে। কিন্তু, বাবার এই ইচ্ছেটা আর পূরণ হলো না,’ বলেন তিনি।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ফাইল ছবি

পৌলমী বসু বলেন, ‘বাবা যখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন তখন আমাকে বললেন একটু কাগজ, কলম আর চশমাটা যেন উনার বিছানার কাছে রেখে দেই। বাবা বলছিলেন, হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাব। তাই এগুলো দিয়ে যেও। কিন্তু, তিনি একটি অক্ষরও লিখে যেতে পারেননি।’ 

‘আমি তো শুধু আমার বাবাকে হারাইনি। হারিয়েছি আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু, সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সহযোদ্ধা।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বাবা সারাজীবন বলেছেন জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করতে। তিনি বলতেন, জীবন থেকে কখনো মুখ ফিরিয়ে নিও না। জীবনকে অর্থবহ করতে হবে। পৃথিবীকে কিছু দিতে হবে। উনি জীবনকে উপভোগ করেছেন। কখনো হতাশ হতে দেখিনি।’

‘বাবার স্মৃতি রক্ষার্থে আমাদের বেশ কিছু পরিকল্পনা আছে। আমরা ধীরে ধীরে সে সব বাস্তবায়ন করবো। উনি যে ভালোবাসা মানুষের কাছ থেকে পেয়েছেন তার প্রতিদান যেন আমরা দিতে পারি,’ বলেন পৌলমী বসু।

আরও পড়ুন:

 

Comments

The Daily Star  | English
books on Bangladesh Liberation War

The war that we need to know so much more about

Our Liberation War is something we are proud to talk about, read about, and reminisce about but have not done much research on.

13h ago