সিলেটে সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে ১৩ হাজার একর জমির সরকারি ঘোষণা হাইকোর্টে বহাল

স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

সিলেটের জৈন্তাপুর ও আসামপাড়ার ১৩ হাজার একর জমিকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে সরকারি ঘোষণার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার পৃথক দুটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, জৈন্তাপুর ও আসামপাড়ার ১৩ হাজার একর জমি রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি এবং এটি ব্যক্তি মালিকানাধীন হতে পারে না।

১৯৮৫ সালে জৈন্তাপুর ও আসামপাড়ার ১৩ হাজার একর জমি সংরক্ষিত বন এলাকা হিসেবে সরকারি ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দুটি পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘১৯৪৮ সালে দেশ ভাগের পর সিলেটের জৈন্তাপুর ও আসামপাড়ার প্রায় ১৩ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয় এবং কিছু জমি ভারতের আসাম থেকে আগতদের জন্য বরাদ্দ করা হয়।’

বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৫ সালে জমিটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। জমিটি এখন সরকারের বন বিভাগের অধীনে।

১৯৮৫ সালের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মো. রফিকুল ইসলাম ও আবদুল মোতালেবসহ ১৯ জন ২০১২ ও ২০১৪ সালে হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট আবেদন করেছিলেন বলে জানান তিনি।

আবেদনে তাদের দাবি ছিল, তারা ভারতের আসাম থেকে আসা ‘মুহাজির’ বা শরণার্থী এবং তারা জমির মালিক।

এরপর হাইকোর্ট দুটি পৃথক রুলে ওই জমিকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণার প্রজ্ঞাপনকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা উচিত নয়, সরকারের কাছে তার ব্যাখ্যা চান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুজ্জামান বলেন, ‘আবেদনকারীরা প্রমাণ করতে পারেননি যে তারা ‘মুহাজির’ বা শরণার্থী এবং তারা তাদের দাবির পক্ষে কোনও দলিলও পেশ করতে পারেননি বলে আজ শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনগুলো খারিজ করেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, পুরো জমি এখন সরকারের বন বিভাগের দখলে আছে। তবে, তিনি রিট আবেদনকারীদের সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারেননি।

এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রিট আবেদনকারীর আইনজীবী চৌধুরী সানোয়ার আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

8h ago