কুষ্টিয়ায় ধর্ষণের মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষকের যাবজ্জীবন
ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় কুষ্টিয়ায় কওমি মাদ্রাসার এক শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে অর্থদণ্ডের এক লাখ টাকা ভিক্টিমের পরিবারকে দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডিত মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল কাদের কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ সিরাজুল ইসলাম দারুল উলুম মরিয়ম নেছা আবাসিক মহিলা মাদ্রাসার সুপারিন্টেনডেন্ট।
কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মুন্সী মশিউর রহমান আসামির উপস্থিতিতে সাজা ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আবদুল কাদের গত ৪ অক্টোবর সকালে ওই ছাত্রীকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সেদিন রাতে তিনি আবার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন এবং ঘটনাটি গোপন রাখার জন্য হুমকি দেন। কিন্তু মেয়েটি অসুস্থ বোধ করায় পরদিন তার এক বান্ধবীকে ঘটনাটি জানিয়ে দেয়। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে সেদিন সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয় লোকজন মাদ্রাসাটিতে ভাঙচুর করে ছাত্রীর বাবা মিরপুর থানায় মামলা করেন। রাত ৯টার দিকে পোড়াদহ থেকে গ্রেপ্তার হন ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল কাদের।
৬ অক্টোবর আদালতে হাজির করার পর আব্দুল কাদেরকে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরদিন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়। অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক ধর্ষণের কথা আদালতে স্বীকারও করেন। ১৩ অক্টোবর মামলার চার্জশিট দাখিলের পর ১২ নভেম্বর আদালত অভিযোগ গঠন করেন। এই মামলায় মোট ১৩ জন মাদ্রাসাছাত্রীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
Comments