এএসপি আনিসুলের মৃত্যু: মাইন্ড এইড হাসপাতালের আরও ২ কর্মীর জবানবন্দি

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে মাইন্ড এইড হাসপাতালের আরও দুই কর্মচারী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ASP_Anisul.jpg
জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম | ছবি: সংগৃহীত

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে মাইন্ড এইড হাসপাতালের আরও দুই কর্মচারী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার মাইন্ড এইড হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট মো. তানভীর হাসান (১৮) ও ওয়ার্ড বয় তানিফ মোল্লা (২০) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এই স্বীকারোক্তি দেন।

আদাবর থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ফারুক মোল্লা আজ এই দুজনকে মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাসের কক্ষে হাজির করলে, তিনি তাদের বক্তব্য রেকর্ড করেন।

আদালত সূত্র জানায়, বক্তব্যে তারা হাসপাতালের অন্যান্য কর্মচারীদের সঙ্গে আনিসুলকে মারধরের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

বক্তব্য রেকর্ডের পর বিচারক তাদের কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে, গ্রেপ্তারকৃত হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার মাহমুদ জয়, শেফ মাসুদ খান, ওয়ার্ড বয় অসীম চন্দ্র পাল ও সজিব চৌধুরী নিহত আনিসুলকে মারধরের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

এ ছাড়া, হাসপাতালের অন্যতম পরিচালক ডা. আবদুল্লাহ আল মামুনকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল ইসলামের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে, আদালত তাকে দুই দিনের রিমান্ডে দেন।

হাসপাতালের আরেক পরিচালক ফাতেমা খাতুন ময়না (৪১) একই মামলায় চার দিনের রিমান্ডে আছেন।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নিয়াজ মোর্শেদকে ১০ নভেম্বর রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসেন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ছাড়া, হাসপাতালের অপর দুই পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন ও সাজ্জাদ আমিন পলাতক আছেন।

গত ১০ নভেম্বর রাজধানীর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালের কর্মচারীদের মারধরে পুলিশের এএসপি আনিসুল করিম শিপনের মৃত্যুর ঘটনায় আদাবর থানায় ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়।

Comments