কুয়াকাটা রাখাইন মহিলা মার্কেটের মাঠে বছরের ৬ মাসই জলাবদ্ধতা

পটুয়াখালীর সাগর সৈকত কুয়াকাটার রাখাইন মহিলা মার্কেটের সামনের মাঠটি পানিতে নিমজ্জিত। ড্রেনেজ সিস্টেম না থাকায় মাঠটি বছরের প্রায় ৬ মাসই পানিতে ডুবে থাকে। অন্যদিকে লোকজন এখানে প্লাস্টিকসহ নানা বর্জ্য ফেলায় নোংরা ও দুর্গন্ধময় পরিবেশের তৈরি হয়েছে। ফলে মাঠ পেরিয়ে মার্কেটে যেতে পর্যটকদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।
কুয়াকাটার রাখাইন মহিলা মার্কেটের সামনের মাঠটি বছরের ৬ মাসই পানিতে নিমজ্জিত থাকে বলে অভিযোগ করেছেন মার্কেটের দোকানিরা। ছবি: সোহরাব হোসেন

পটুয়াখালীর সাগর সৈকত কুয়াকাটার রাখাইন মহিলা মার্কেটের সামনের মাঠটি পানিতে নিমজ্জিত। ড্রেনেজ সিস্টেম না থাকায় মাঠটি বছরের প্রায় ৬ মাসই পানিতে ডুবে থাকে। অন্যদিকে লোকজন এখানে প্লাস্টিকসহ নানা বর্জ্য ফেলায় নোংরা ও দুর্গন্ধময় পরিবেশের তৈরি হয়েছে। ফলে মাঠ পেরিয়ে মার্কেটে যেতে পর্যটকদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।   

গত রবিবার সেখানে গিয়ে যায়, মাঠের পানিতে কিছু হাঁস সাঁতার কাটছে। ভাসছে প্লাস্টিক বর্জ্য। কুয়াকাটা রাখাইন মহিলা মার্কেটের মাঠটির এমন বেহাল দশা কাটাতে দোকানিরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।

মার্কেটের দোকানি লুমো রাখাইন জানান, ড্রেনেজ সিস্টেম না থাকায় সাধারণত মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিবছর বর্ষার পানিতে মাঠটি পানিতে তলিয়ে যায়। তবে এখন নভেম্বরেও বর্ষার পানিতে মাঠটি সয়লাব। করোনার প্রভাবে কয়েকমাস এমনিতেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এখন পর্যটন মৌসুম শুরু হলেও জলাবদ্ধতার কারণে ক্রেতারা আসতে পারছে না।

মার্কেটের আরেক দোকানি উচো রাখাইন জানান, মাঠটির পানি অপসারণে ড্রেন করা প্রয়োজন। কিন্তু পৌর কর্তপক্ষের কাছে এ বিষয়ে একাধিকবার আবেদন করা হলেও কোন সুফল আসেনি।

আরও কয়েকজন দোকানি জানান, মাঠে পানি না থাকলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পর্যটকরা তাদের গাড়ি এ মাঠে পার্ক করার সুবিধা পেতেন। তারা এখানে ঘুরতেন, কেনাকাটা করতেন। কিন্তু মাঠটিতে পানি থাকায় এখন ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে।

মাঠটির চারদিকে অপরিকল্পিত স্থাপনাসহ বিভিন্ন দোকানপাট নির্মাণ করায় পানি অপসারণের পথ আটকে গেছে। এখন নতুন ড্রেন করা না হলে পানি নামানোর পথ নেই। ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের পরে একদফা মাঠের পানি সরানো হয়েছিল। তারপর বৃষ্টির পানিতে আবার মাঠটি তলিয়ে যায়, জানান তারা। 

কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা বলেন, ‘তিন পাশে ড্রেন করা হয়েছে। কিন্তু উত্তর-পূর্ব দিকের মাত্র ত্রিশ ফুট ড্রেন করতে স্থানীয়রা বাধা দেয়ায় ড্রেনেজ সিস্টেমের কাজ সম্পন্ন করা যায়নি। তাই এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি স্থানীয়দের সাথে সমঝোতা করে ড্রেনের বাকি কাজ শেষ করতে।’

Comments

The Daily Star  | English

Yunus’ economic gambit paying off

Two months ago, as Professor Muhammad Yunus waded into Bangladesh’s unprecedented political turmoil, he inherited economic chaos by default.

1h ago