কোতোয়ালি থানার ওসিসহ ৪ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা
রাজধানীর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহ চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় পুলিশের এক সোর্সসহ আরও অজ্ঞাতনামা তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
মো. রহিম নামে এক ব্যবসায়ী আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে এ মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন--কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান, এসআই আনিসুল ইসলাম, এএসআই খায়রুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম, সোর্স দেলোয়ার হোসেন ও অজ্ঞাতনামা তিন জন।
আদালত আজ মামলার বাদি রহিমের জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং আগামী ৩ ডিসেম্বর মামলার বিষয়ে আদেশ দেবেন বলে জানান।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ব্যবসায়ী রহিমকে গত ১২ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া ব্রিজের ওপর অভিযুক্ত অজ্ঞাতনামা তিন জন ডিবি পুলিশ পরিচয়ে পথ রোধ করেন। রহিমের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে বলে তারা জানান।
পরে, তারা রহিমকে একটি দোকানের ভেতর নিয়ে তল্লাশি চালান। তল্লাশিতে তার কাছ থেকে কিছু না পাওয়া গেলে, তারা রহিমকে বাবু বাজার ব্রিজের কাছে নিয়ে যান।
সেখানে এসআই আনিসুল ইসলাম, এএসআই খায়রুল ইসলাম ও সোর্স দেলোয়ার হোসেনের কাছে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে তারা জানান, রহিমের কাছ থেকে ৬৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া গেছে।
এসআই আনিসুল ইসলাম মাদক মামলা থেকে বাঁচতে রহিমের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন।
ব্যবসায়ী রহিম বাঁচার জন্য তার কাছে থাকা একটি সোনার চেইন ও নগদ ১৩ হাজার টাকা দেন। এরপর তারা রহিমকে রাত সোয়া ৯টার দিকে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যান। পরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে রহিম তাদের আরও ৫০ হাজার টাকা দেন।
এরপর, রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ওসি মিজানুর রহমান রহিমকে ডেকে জানান যে তার নামে একটি ছোট্ট মামলা করা হয়েছে।
রহিমের অভিযোগ থেকে জানা যায়, দাবিকৃত টাকা না পেয়ে রহিমের বিরুদ্ধে ১০ পিস ইয়াবার মামলা দেওয়া হয়। মামলার বিচারে ১৭ দিন কারাবাসের পর, ৩০ অক্টোবর জামিনে মুক্ত হন রহিম।
অভিযোগের বিষয়ে ওসি মিজানুর রহমানের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
Comments