স্পেন ৬-০ জার্মানি, পরিসংখ্যান যা বলছে
উয়েফা নেশন্স লিগের ফিরতি ম্যাচে নিজেদের মাঠে জার্মানিকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে স্পেন। সেভিয়াতে ‘এ’ লিগের চার নম্বর গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে জোয়াকিম লোর দলকে নাস্তানাবুদ করেছে লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
আসরের ফাইনালসে জায়গা করে নিতে মঙ্গলবার রাতে ড্র হলেই চলত জার্মানির। তবে স্পেনের সামনে বিকল্প ছিল না জয়ের। প্রয়োজনের মুহূর্তে যেন সর্বশক্তি নিয়ে জ্বলে ওঠে লা রোহারা!
ফেরান তরেসের হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি আলভারো মোরাতা, রদ্রি ও মিকেল ওইয়ারজাবালের লক্ষ্যভেদে পরের পর্বে নাম লিখিয়েছে স্প্যানিশরা। অথচ প্রথমার্ধে চোটের কারণে মাঠ ছাড়তে হয় দলটির মিডফিল্ডার সার্জিও কানালেস ও অধিনায়ক সার্জিও রামোসকে।
আরও পড়ুন: জার্মানিকে নিয়ে স্পেনের ‘ছেলেখেলা’
পরিসংখ্যানে স্পেন-জার্মানি ম্যাচ:
* গোটা ম্যাচে ৭০ শতাংশ সময়ে বল ছিল স্প্যানিশদের পায়ে। সফরকারী জার্মানরা বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে মাত্র ৩০ শতাংশ সময়ে।
* প্রতিপক্ষের গোলমুখে মোট ২৩টি শট নেয় স্বাগতিকরা। তরেস-মোরাতাদের নেওয়ার শটের দশটি ছিল লক্ষ্যে। এমনকি ১৬টি শটই তারা নেয় ডি-বক্সের ভেতর থেকে।
* জার্মানরা শট নিতে পারে মোটে দুটি। লক্ষ্যে ছিল না একটিও। ৭৯তম মিনিটে সার্জ গ্যানাব্রির দূরপাল্লার শট অবশ্য বাধা পায় ক্রসবারে।
পরিসংখ্যানে স্পেনের জয়:
* ম্যাচের দুই অর্ধে তিনটি করে গোল করে স্পেন। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিরতির আগে জার্মানদের বিপক্ষে ৩-০ গোলে এগিয়ে ছিল তারা।
* প্রথম স্প্যানিশ খেলোয়াড় হিসেবে জার্মানির বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের নজির গড়েন ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড তরেস। অনবদ্য পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরার পুরস্কারও পান তিনি।
পরিসংখ্যানে জার্মানির হার:
* প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে চারবারের সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানির এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের নজির। সব ধরনের ম্যাচ মিলিয়ে তাদেরকে সবচেয়ে বড় হারটি উপহার দিয়েছিল ইংল্যান্ড অ্যামেচারস। ১৯০৯ সালে তারা জিতেছিল ৯-০ গোলে।
* গত ৮৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে জার্মানরা। ১৯৩১ সালে প্রীতি ম্যাচে তাদেরকে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল অস্ট্রিয়া।
* জার্মানি সবশেষ ছয় গোল হজম করেছিল ১৯৫৮ বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে। ফ্রান্স তাদের বিপক্ষে জিতেছিল ৬-৩ ব্যবধানে।
Comments