নাগোরনো-কারাবাখে সেনা মোতায়েনে সায় তুর্কি পার্লামেন্টে

পার্লামেন্টে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়া। ফাইল ফটো রয়টার্স

আজারবাইজানের নাগোরনো-কারাবাখে সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছে তুরস্কের পার্লামেন্ট। মঙ্গলবার তুর্কি পার্লামেন্টে এই প্রস্তাব পাস হয়।

আলজাজিরা জানায়, নাগোরনো-কারাবাখে যুদ্ধ বন্ধের জন্য সম্প্রতি রাশিয়ার মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। চুক্তি অনুযায়ী, নতুন করে যেন দুই দেশের মধ্যে সংঘাত তৈরি না হয় সেটি নিশ্চিত করতে কারাবাখে রুশ ও তুর্কি বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়।

তুর্কি সেনারা এক বছরের জন্য সেখানে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে প্রায় ২ হাজার রুশ শান্তিরক্ষী সেনাও ওই অঞ্চলে মোতায়েন আছে।

মঙ্গলবার, অনুমোদনের জন্য সংসদে পাঠানো চিঠিতে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়া বলেন, ‘তুর্কি সেনাদের উপস্থিতি এবং যদি প্রয়োজন হয় তবে আমাদের দেশ থেকে সামরিক কর্মকর্তারাও আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধির সুবিধার্থে সেখানকার জনগণ ও আমাদের জাতীয় স্বার্থের পক্ষে থাকবেন।’

মঙ্গলবার তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার জানান, এ বিষয়ে আঙ্কারা ও মস্কোর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আজারবাইজানে তুরস্কের পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কাজ সীমাবদ্ধ রাখা হবে। তুর্কি শান্তিরক্ষীরা নাগোরনো-কারাবাখে যেতে পারবেন না।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানান, শান্তি চুক্তির লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে ড্রোন এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত উপায় ব্যবহার করে রুশ কেন্দ্রও দূর থেকে কাজ করবে।

কয়েক দশকের বিরোধে ১৯৮০’র দশকের শেষদিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে ওই সংঘর্ষ চূড়ান্ত রূপ নেয়। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার মানুষ সংঘর্ষে নিহত হয়।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, এ বছর নতুন করে দুই পক্ষের সংঘাতে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Muslim pilgrims pray at Mount Arafat in hajj apex

Thousands of pilgrims began to gather before dawn around the hill and the surrounding plain

1h ago