বেনাপোলে ৫ কোটি টাকার পণ্য আটক, ৭ সিএন্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল
বেনাপোলে গত দুই সপ্তাহে রাজস্ব ফাকির অভিযোগে পাঁচ কোটি টাকার পণ্য চালান আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তবুও থামানো যাচ্ছে না রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতা।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে বছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকার পণ্য বাণিজ্য হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বেনাপোল কাস্টমস হাউসের জন্য চলতি অর্থ বছরে ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। একটি অসাধু চক্র রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চকলেটের চালানে শাড়ি; ব্লিচিং পাউডারের চালানে কফি ও ওষুধ; মেশিনারি পার্টস এর ভেতরে প্যাডলক ও রেক্সিন এবং ঘোষণার অতিরিক্ত ১৯টন মাছের চালান গত দুই সপ্তাহে আটক হয়েছে।
এসব চালান থেকে দুই কোটি ২০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জব্দ পণ্য বাজেয়াপ্ত করে নিলামের প্রক্রিয়া শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে সাতটি সিএন্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্স বাতিল করেছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: রিমু এন্টারপ্রাইজ, তালুকদার এন্টারপ্রাইজ, এশিয়া এন্টারপ্রাইজ, সানি ইন্টারন্যাশনাল, মদিনা এন্টারপ্রাইজ (ভাড়ায় খাটানো হয়), মুক্তি এন্টারপ্রাইজ, রিয়াংকা এন্টারপাইজ।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, শুল্ক ফাঁকির ঘটনা দুঃখজনক। এসব ঘটনায় প্রকৃত ব্যবসায়ীদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। সৎ ব্যবসায়ীদের হয়রানি বেড়ে যাচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান বলেন, আমরা শুল্ক ফাঁকি প্রতিরোধে অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছি। শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে আমরা অনেক প্রতিষ্ঠানের সিএন্ডএফ লাইসেন্স বাতিল করেছি। মিথ্যা ঘোষণায় যেসব পণ্য আমদানি করা হচ্ছে তাদের সিএন্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল ও পণ্যগুলো বাজেয়াপ্ত করছি।
Comments