নির্মাণকাজ শেষ, দুই বছরেও চালু হয়নি নার্সিং ইনস্টিটিউট

ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হলেও দুই বছরেও চালু হয়নি পাবনা ডায়াবেটিক হাসপাতালের নার্সিং ইন্সটিটিউট। ছবি: স্টার

পাবনা ডায়াবেটিক হাসপাতালে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত ২০০-সিটের নার্সিং ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজ দুই বছর আগে শেষ হলেও এখনও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি।

সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগের কাজ বাকি থাকায় তিন তলার এই নার্সিং ইনস্টিটিউট গণপূর্ত বিভাগ হস্তান্তর করছে না।

পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) এ ২০১৩ সালে ১৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নার্সিং ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজ শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ। মোট বরাদ্দের মধ্যে সরকার ১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা পরিশোধ করে এবং বাকি টাকা পাবনা ডায়াবেটিক সমিতি পরিশোধ করে।

২০১৮ সালে এই ইনস্টিটিউটের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা ছিল। একই বছরের ডিসেম্বরেই কাজ শেষ হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগের কাজ বাকি রাখে।  

পাবনা ডায়াবেটিক হাসপাতালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মাণকাজের ৯৯ শতাংশ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে, মাত্র ১ শতাংশ কাজ বাকি থাকায় গণপূর্ত বিভাগ তা ডায়াবেটিক হাসপাতালের কাছে হস্তান্তর না করায় নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।

পাবনা ডায়াবেটিক হাসপাতালের সভাপতি বেবি ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘নির্মাণকাজ সিংহভাগ শেষ হলেও সামান্য কিছু কাজ কাজ বাকি থাকায় গণপূর্ত বিভাগ এখনও প্রতিষ্ঠানটি আমাদের বুঝিয়ে দেয়নি ফলে গত দুই বছরেও এ ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি।’

এ ব্যাপারে গণপূর্ত বিভাগ এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে বার বার তাগাদা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

তিনি জানান, বছরের পর বছর এ ভবন পরে থাকায় অযত্ন আর অবহেলায় ভবনের বিভিন্ন স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বেবি ইসলাম জানান, কাজ শেষ করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দুই দফায় সময় বাড়িয়ে এ বছরের জুন মাসের মধ্যে কাজ বুঝিয়ে দেয়ার জন্য চিঠি দিলেও স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে পাবনা ডায়াবেটিক হাসপাতালের কাছে ইনস্টিটিউটটি বুঝিয়ে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি গণপূর্ত বিভাগ। এ অবস্থায় আগামী শিক্ষাবর্ষে ক্লাশ শুরু করা নিয়েও সংশয় আছে ।

তিন তলা ভবনের এ নার্সিং ইনস্টিটিউটে ২০০ শিক্ষার্থীর আবাসিক শিক্ষা কার্যক্রমের সর্বাধুনিক সুবিধা রয়েছে বলে জানিয়েছে পাবনা ডায়াবেটিক হাসপাতাল।  

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, গণপূর্ত বিভাগ পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। বিদ্যুৎ ও পানির লাইনের সামান্য কিছু কাজ বাকি রয়েছে যা শেষ করে যত দ্রুত সম্ভব এ প্রতিষ্ঠান ডায়াবেটিক হাসপাতালের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে।

এই বছরই নতুন এই ভবন ডায়াবেটিক হাসপাতালকে হস্তান্তর করা হবে বলেও আশা করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Four of a family killed in Sylhet hillock collapse

The incident occurred around 2:00am in Bakhtiarghat area under Lakshanaband Union of Golapganj upazila

25m ago