যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু ছাড়াল আড়াই লাখ, সমন্বিত ব্যবস্থার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সবগুলো রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে এবং দেশটিতে আজ বৃহস্পতিবার মৃতের সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়িয়েছে। এ অবস্থায় মহামারি প্রতিরোধে দেশটিতে 'জোড়াতালি' দিয়ে কোনও ব্যবস্থা কার্যকর হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নিউ ইয়র্কে স্কুল বন্ধের ঘোষণার পর স্কুল ছাড়ছে শিক্ষার্থীরা। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সবগুলো রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে এবং দেশটিতে আজ বৃহস্পতিবার মৃতের সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়িয়েছে। এ অবস্থায় মহামারি প্রতিরোধে দেশটিতে 'জোড়াতালি' দিয়ে কোনও ব্যবস্থা কার্যকর হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, করোনা সংক্রমণ রোধে নিউইয়র্ক সিটিতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে স্কুল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মেয়র, স্কুল বোর্ড ও গভর্নররা বিষয়টি নিয়ে এ সপ্তাহের আগে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।

সপ্তাহের প্রথমদিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শীর্ষ সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউচি বিভিন্ন রাজ্যে বা শহরে পৃথক পৃথক ব্যবস্থার পরিবর্তে পুরো দেশের জন্য একটা 'সমন্বিত' ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন।

এ দিকে, ওহাইওতে রাতের বেলা কারফিউ জারি করা হচ্ছে এবং মিসিসিপি ও আইওয়াতে পুরো রাজ্যে প্রথমবারের মতো মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

মেরিল্যান্ডে বার, রেস্তোরাঁ ও নাইট ক্লাবগুলোকে রাত ১০টায় বন্ধ করতে বলা হয়েছে। পেনসিলভেনিয়ায় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে রাজ্যে কেউ আসতে চাইলে তার আগে তাকে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।

মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ বুধবার সন্ধ্যায় বলেন, 'আমাদের পায়ের নিচ থেকে সত্যিই মাটি সরে গেছে।'

ডেনভারে কেন্টাকির মতো অনলাইন ক্লাস নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়ায় সবকিছু নতুন করে আবার চালু হওয়ার পর, গভর্নর 'জরুরিভাবে থামতে হবে' বলে জানিয়েছেন। লস অ্যাঞ্জেলেস ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ওপর কারফিউ জারি করেছে।

ইলিনয়ও নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। কেবল হাওয়াইয়ের ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণ অপেক্ষাকৃত স্বাভাবিক আছে বলে খবরে জানানো হয়েছে।

দেশটির প্রায় সব রাজ্যেই বিভিন্ন বিধি নিষেধ আরোপ করা হলেও, জাতীয়ভাবে একটি দিকনির্দেশনার অভাব রয়েই গেছে।

দেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণে এবং মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকার একটা প্রাথমিক কারণ হচ্ছে একটা জাতীয় কৌশল অবলম্বন না করা।

নির্বাচনের আগে ভাইরাস ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ ছিল। নির্বাচনের পরে এই বিশৃঙ্খলা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।

বুধবার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন করোনাভাইরাস নিয়ে তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন, 'এটা যুদ্ধের মতো, এখানে একজন সেনাপতি দরকার।'

দেশটিতে আজ নতুন করে আরও এক লাখ ৭২ হাজার লোকের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং এ মহামারিতে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা হিসেবে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago