‘কোটি টাকার’ তক্ষকের প্রলোভন দেখিয়ে এনজিও কর্মকর্তাকে অপহরণ করে হত্যা

পাহাড়ের ৫০ ফুট গভীর গর্তে ফেলে দেওয়া হয়েছিল মরদেহ
murder logo
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

‘কোটি টাকা’ দামের বিক্রয় নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণী তক্ষক কম দামে বিক্রির কথা বলে প্রথমে অপহরণ করা হয় এক এনজিও কর্মকর্তাকে। পরে বনিবনা না হওয়ায় তাকে হত্যা ও লাশ গুম করতে ফেলে দেওয়া হয় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুরের নির্জন পাহাড়ি এলাকার ৫০ ফুট গভীর এক গর্তে।

প্রায় এক বছর আগের এই ঘটনার পর মামলা হলেও জট খুলতে পারেনি থানা পুলিশ। শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর তদন্তে বের হয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য, গ্রেপ্তার হন দুই অপহরণকারী। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় লাশ গুমের সেই জায়গা খুঁজে পায় পিবিআই কর্মকর্তারা।

বুধবার ভুজপুরে গহিন পাহাড়ি জংগলে অভিযান চালিয়ে লাশ গুমের জায়গাটি চিহ্নিত করে পিবিআই। একদিন বাদে আজ সন্ধ্যায় ‘সেতু বন্ধন’ নামের ওই এনজিওর ব্যবস্থাপক হেলাল উদ্দিনের গলিত দেহ উদ্ধার হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— বিল্লাল, ও রাজামিয়া। তারা ফটিকছড়ি উপজেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পিবিআই কর্মকর্তারা।

পিবিআইএর চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মামলা তদন্ত করতে গিয়ে প্রথমে ছদ্মবেশে গ্রেপ্তার করা হয় বিল্লালকে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাজামিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। খুঁজে পাওয়া যায় হত্যা ও লাশ গুমের জায়গাটি।’

পিবিআই কর্মকর্তারা জানান, তথাকথিত কোটি টাকা দামের তক্ষক কম দামে বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে গত বছরের ২৩ নভেম্বর ঢাকার এনজিও ‘সেতু বন্ধনের’ ম্যানেজার হেলাল উদ্দিনকে (৪৩) কৌশলে ফটিকছড়ি এনে অপহরণ করে একটি চক্র। পরে দাম নিয়ে অপহরণকারীদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাকে হত্যা করে মরদেহ গুম করতে পাহাড়ের ৫০ ফুট গভীর গর্তে ফেলে দেওয়া হয়।

পিবিআই চট্টগ্রামের সুপার নাজমুল হাসান জানান, ‘গ্রেপ্তারের পর বিল্লাল পিবিআইএর কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে তারা ১০ থেকে ১২ জন মিলে হত্যা করে গর্তে মরদেহ ফেলে দেয়।’

তিনি জানান, বুধবার রাতে বিল্লালের মাধ্যমে জায়গাটি চিহ্নিত করা হলেও সাপের উপদ্রবে উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরুতেই বাধাগ্রস্ত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবার উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক আবু হানিফ বলেন নির্জন পাহাড়ি অঞ্চল বলে অপরাধীরা এই জায়গাটি বেছে নিয়েছে। এখানে মানুষের যাতায়াত খুবই কম।

এই মামলার অন্য আসামিদের অবস্থান চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পিবিআই।

Comments

The Daily Star  | English

Please don't resign: An appeal to Prof Yunus

A captain cannot abandon ship, especially when the sea is turbulent

11h ago