ম্যান সিটিকে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে টটেনহ্যাম

২২টি শটের পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু একটি সুযোগেরও পূর্ণতা দিতে পারল না ম্যানচেস্টার সিটি। বিপরীতে, লক্ষ্যে থাকা দুটি শট থেকেই গোল আদায় করে নিল টটেনহ্যাম হটস্পার। দুর্দান্ত জয়ে তারা উঠে গেল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে।
শনিবার রাতে নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে জিতেছে স্পার্সরা। পঞ্চম মিনিটে তাদেরকে এগিয়ে নেন হিয়ুং-মিন সন। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে বদলি নামার ৩৫ সেকেন্ডের মধ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জিওভানি লো সেলসো।
দুই তারকা কোচের কৌশলের লড়াইয়ে ফের শেষ হাসি হেসেছেন জোসে মরিনহো। চলতি বছরের জানুয়ারিতে পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের সঙ্গে সবশেষ সাক্ষাতেও একই ব্যবধানে জিতেছিল তার দল।
গার্দিওলার পজিশনভিত্তিক ছকের জবাব দিতে পাল্টা আক্রমণ নির্ভর কৌশল সাজিয়েছিলেন মরিনহো। তাতেই মিলেছে সুফল। অধিকাংশ সময়ে বল দখলে রাখা ম্যান সিটির আক্রমণের জোয়ার গতি হারিয়েছেসময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে। স্বাগতিকদের জমাট রক্ষণ ভাঙার উপায় খুঁজে পাননি কেভিন ডি ব্রুইন-গ্যাব্রিয়েল জেসুসরা।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় টটেনহ্যাম। টাঙ্গায় এনডোমবেলের উঁচু করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন দক্ষিণ কোরিয়ার ফরোয়ার্ড সন। ৯ গোল নিয়ে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে আছেন তিনি।

১৩তম মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে ফের বল জালে পাঠিয়েছিল টটেনহ্যাম। সার্জ অরিয়ের ও স্টিভেন বার্গউইনের পা ঘুরে বল পেয়ে যান সন। তার কাটব্যাকে ফাঁকা জালে বল পাঠান হ্যারি কেইন। কিন্তু তিনি অফসাইডে থাকায় ব্যবধান বাড়েনি।
২৭তম মিনিটে গোল শোধ করেছিলেন সফরকারীদের ডিফেন্ডার আইমেরিক লাপোর্ত। তবে তাকে খুঁজে নেওয়া জেসুসের হাতে বল লাগায় সিটির সমতায় ফেরার উল্লাস টেকেনি। ভিএআরের সাহায্যে গোল বাতিল করে দেন রেফারি।
৬৫তম মিনিটে জয় নিশ্চিত করে ফেলে মরিনহোবাহিনী। ইংলিশ তারকা কেইন মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে দৌড়ে পাস দিয়েছিলেন লো সেলসোকে। প্রথম ছোঁয়ায় ডি-বক্সে ঢুকে জায়গা করে নিয়ে কোণাকুণি শটে এদারসনকে পরাস্ত করেন এই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার।
নয় ম্যাচে ছয় হার ও এক ড্রয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে রয়েছে টটেনহ্যাম। এক ম্যাচ কম খেলে মাত্র ১২ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে রয়েছে ম্যান সিটি।
Comments