শীতে ত্বকের যত্ন

winter-tips-1.jpg
স্টার ফাইল ছবি

ত্বক শরীরের একক বৃহত্তম অঙ্গ। কাজেই সুস্থ ও সুন্দর ত্বক সুস্থ শরীরের জন্য অপরিহার্য, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। পারিপার্শ্বিক অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে শরীরের স্বাভাবিক অবস্থা রক্ষা করা ত্বকের একটি প্রধান কাজ। এজন্য ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকেরও পরিবর্তন হয়ে থাকে।

ত্বকে অবস্থিত গ্রন্থির নিঃসৃত তেলের মাধ্যমে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা বজায় থাকে। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের স্বাভাবিক তেলের আস্তরণ শুষে নেয়। ফলে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হতে থাকে। বিশেষ করে একজিমা, সোরিয়াসিস, ইকথাওসিস এবং অ্যালার্জি-জনিত রোগে যারা ভুগে থাকেন, তাদের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সুস্থদেরও এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এজন্য শীতে ত্বকের জন্য বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। দৈনন্দিন জীবনে কিছু নিয়ম প্রতিপালন করে শীতে ত্বকের শুষ্কতা থেকে মুক্ত থাকা যেতে পারে।

গোসল

অনেকে শীতে গরম পানিতে গোসল করেন। এতে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। কুসুম কুসুম গরম পানিতে স্বল্প সময়ে গোসল শেষ করুন। গোসলে অপেক্ষাকৃত কম ক্ষারীয় সাবান ব্যাবহার করুন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী সাবান নির্বাচনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। একজিমা, সোরিয়াসিস, ইকথাওসিস ইত্যাদি রোগে যারা ভুগে থাকেন, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অটামিল বাথ, সি সল্ট বাথ নিতে পারেন।

ময়েশ্চারাইজার

একজিমা, সোরিয়াসিস, ইকথাওসিস ইত্যাদি রোগ না থাকলেও শীতে ত্বক স্বাভাবিক রাখতে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যাবহার করা উচিত। ময়েশ্চারাইজার ত্বকের নিঃসৃত তেল সংরক্ষণে সহায়তার পাশাপাশি ত্বক মসৃণ রাখে। গোসলের পরপরই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ভালো। ক্রিম, লোশন, জেল এমনকি সাবান হিসেবেও এগুলো বাজারে পাওয়া যায়। ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

পোশাক

টাইট-ফিট এবং সিনথেটিক/কৃত্রিম তন্তুর পোশাক ত্বককে আরও শুষ্ক ও রুক্ষ করে এবং অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। কাজেই আরামদায়ক এবং প্রাকৃতিক তন্তু দ্বারা তৈরি পোশাক পরিধান করুন। পলিয়েস্টার, লিনেন, নাইলন ইত্যাদির পরিবর্তে কটন, সিল্কের তৈরি পোশাক পরিধান করুন।

হিউমিডিফায়ার

কক্ষে জলীয় বাষ্প ঠিক রাখতে হিউমিডিফায়ার ব্যাবহার করতে পারেন। এটির মাধ্যমে রুমের জলীয় বাষ্প ৪০-৬০% এ রাখুন। বিশেষ করে একজিমা, সোরিয়াসিস, ইকথাওসিস ইত্যাদি রোগে যারা ভুগে থাকেন, তাদের জন্য হিউমিডিফায়ার বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

মনে রাখবেন একজিমা, সোরিয়াসিস, ইকথাওসিস ইত্যাদি রোগে যারা ভুগে থাকেন, শীতকালে তাদের ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস, ভাইরাস এবং পরজীবীজনিত ত্বকের সংক্রামণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়, কাজেই শীতে তকের যত্ন নিন। সর্বোপরি খোলামেলা আলোকিত পরিবেশে দুশ্চিন্তামুক্ত, পরিষ্কার-পরিছন্ন জীবনযাপন করার চেষ্টা করুন।

লেখক: ডা. এম আর করিম রেজা, ত্বক, সৌন্দর্য ও সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ

Comments

The Daily Star  | English

Large-scale Chinese investment can be game changer for Bangladesh: Yunus

The daylong conference is jointly organised by Bangladesh Economic Zones Authority and Bangladesh Investment Development Authority

9m ago