তারুণ্যই শক্তি বেক্সিমকো ঢাকার
প্লেয়ার্স ড্রাফটে সবার আগে কাউকে বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল বেক্সিমকো ঢাকার। কিন্তু আগ্রহের শীর্ষে থাকা সাকিব আল হাসানকে নেয়নি তারা। মুশফিকুর রহিমকে নেওয়ার পর তরুণ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে টেনে নেয় কর্পোরেট হাউসটি।
দল তৈরি করতে বিসিবির বেঁধে দেওয়া বাজেটের চেয়েও ৬ লাখ টাকা কম লেগেছে তাদের। কিন্তু দল হিসেবে তাদের দুর্বলের কাতারে নয়, সেরা না হলেও তাদের রাখতে হবে সেরাদের সঙ্গেই।
জাতীয় দলের তারকা
সব সংস্করণে নিয়মিত জাতীয় দলে খেলেন এমন তারকাদের মধ্যে কেবল মুশফিকুর রহিম ও রুবেল হোসেন আছেন এই দলে। আছেনকেবল টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পাওয়া নাঈম শেখ। জাতীয় দলের স্কোয়াডে ডাক পেলেও অভিষেক না হওয়া ইয়াসির আলি রাব্বি, নাসুম আহমেদরাও থাকছেন এই ক্যাটাগরিতে।
উঠতি তারকা
ঢাকার স্কোয়াডে উঠতি তারকার ছড়াছড়ি। এখানে একজন কাউকে বেছে নিতে হলে সেই তকমা পাবেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। রোমাঞ্চকর এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান যুব বিশ্বকাপ থেকেই সবার নজরে। ভয়ডরহীন মানসিকতায় তিনি হতে পারেন এই আসরে সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার। শক্তি-দুর্বলতা
ঢাকার মূল শক্তি তাদের তারুণ্য নির্ভর স্কোয়াড। ওপেনিংয়ে দুই বাঁহাতি নাঈম শেখ, তানজিদ দুজনেরই বয়স অল্প। টপ অর্ডারে ইয়াসির আলি রাব্বির অনেকদিনের ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা থাকলেও বয়সের দিক থেকে তিনিও কেবল ২৪। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে মিডল অর্ডারে আছেন শাহাদাত হোসেন দিপু আর আকবর আলি। আকবর নিজেও কিপার ব্যাটসম্যান হওয়ায় চাইলে মুশফিক কিছুটা ভারমুক্ত হতে পারেন।
তবে তারুণ্য যেখানে শক্তি সেখানেই আছে দুর্বলতা। এই তরুণরা স্নায়ুচাপ ধরে রেখে নিজেদের সামর্থ্য চেনাতে পারলে ঢাকার চাকা ছুটবে দুরন্ত গতিতে। কিন্তু তারা যদি বড় মঞ্চের চাপে হয়ে যান কাবু, তবে হীতে বিপরীত দশা হতে পারে খালেদ মাহমুদের শিষ্যদের।
ঘরোয়া পারফর্মার
এখানেও একটা ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে। ঘরোয়া পারফর্মারদের মধ্যে সাব্বির রহমান আছেন। তিনি অনেকদিন ধরেই নিজেকে হারিয়ে দিশেহারা। তার উপর ভরসা হয়ত এখন এই সময়ে কেউই করবে না। ফিটনেস নিয়ে খেটে অনেকটা ঝরঝরে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান পিনাক ঘোষ। বড় শট খেলতে পারেন তবে তারও আছে ধারাবাহিকতার অভাব। টপ অর্ডারে যোগ্য বিকল্প তিনি হতে পারবেন কীনা, সেই প্রশ্ন আছে। এখানে রবিউল ইসলাম রবি হতে পারেন বেশ কার্যকর ক্রিকেটার।
রুবেল হোসেনকে আলাদা করে রাখলে ঢাকার পেস আক্রমণ গড়পড়তা। আবু হায়দার রনির সঙ্গে আছেন শফিকুল ইসলাম আর মেহেদী হাসান রানা। রানা-রনি একই ধরণের বোলার। দুজনেই বাঁহাতি। সর্বশেষ বিপিএলে রানা বেশ ভাল করেছিলেন, সেই রেশ থেকেই হয়ত ঢাকা তাকে নিয়েছে। শফিকুল ইসলাম অনেকটা বুদ্ধিদীপ্ত বোলার। গতি বৈচিত্র্যই তার মূল অস্ত্র। এখানে তাই রুবেলকেই নিতে হবে বড় ভূমিকা।
এক্স-ফ্যাক্টর
বেক্সিমকো ঢাকার সেরা তারকা নিঃসন্দেহে মুশফিকুর রহিম। তবে এক্স-ফ্যাক্টর হয়ে যেতে পারেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।
প্রত্যাশা-লক্ষ্য
দলের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদের মতে, কিছু ক্রিকেটারদের ঘাটতি আছে তাদের। তবে তরুণদের উপর ভরসা রেখেই রোমাঞ্চকর কিছুর প্রত্যাশা তাদের, ‘খুবই তরুণ দল। অভিজ্ঞ বলতে মুশফিক আছে, রুবেল (হোসেন) আছে, আরও দু-একজন। কিন্তু এমনিতে তরুণ দল। ড্রাফটে লটারিতে প্রথম হওয়ায় শুরুতে ডাকতে পারলেও পরে আবার ডাকতে হয় সবার শেষে। এতে মাঝখানে অনেক ক্রিকেটার অন্য দলে চলে যায় বলে কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আমরা পাইনি। তবে যারা আছে, তারাও ভালো ক্রিকেটার। তরুণ যারা আছে, ওরা রোমাঞ্চকর।’
বেক্সিমকো ঢাকা: মুশফিকুর রহিম, রুবেল হোসেন, তানজিদ হাসান তামিম, নাসুম আহমেদ, নাঈম শেখ, নাঈম হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, আকবর আলি, ইয়াসির আলি রাব্বি, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান রানা, মুক্তার আলি, শফিকুল ইসলাম, আবু হায়দার রনি, পিনাক ঘোষ, রবিউল ইসলাম রবি।
Comments