প্রবাস

সমালোচনার মুখে জাপানের ‘গো টু ট্রাভেল’

সমালোচনার মুখে পড়েছে জাপানের ‘গো টু ট্রাভেল’ প্রচারাভিযান। কোভিড-১৯ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে গত ২০ নভেম্বর ‘গো টু ট্রাভেল’ কর্মসূচিতে কাটছাঁটের আভাস দেন প্রধানমন্ত্রী সুগা। অভ্যন্তরীণ পর্যটনকে গতিশীল করতে সরকারি ভর্তুকিতে নেওয়া হয়েছিল ‘গো টু ট্রাভেল’ উদ্যোগ।
গো টু ট্রাভেলে একটি বাংলাদেশি পরিবার।

সমালোচনার মুখে পড়েছে জাপানের ‘গো টু ট্রাভেল’ প্রচারাভিযান। কোভিড-১৯ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে গত ২০ নভেম্বর ‘গো টু ট্রাভেল’ কর্মসূচিতে কাটছাঁটের আভাস দেন প্রধানমন্ত্রী সুগা। অভ্যন্তরীণ পর্যটনকে গতিশীল করতে সরকারি ভর্তুকিতে নেওয়া হয়েছিল ‘গো টু ট্রাভেল’ উদ্যোগ।

বিশেষজ্ঞদের মতে যদিও জাপানে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য ‘গো টু ট্রাভেল’ সরাসরি দায়ী নয়। কিন্তু, এটা অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে না, তা বলা যাবে না। কারণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জাপান সরকারের বেঁধে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি ভ্রমণকারীরা অনেকাংশেই মানছেন না। তাই, ‘গো টু ট্রাভেল’ স্থগিত কিংবা বন্ধ করার পক্ষে তাদের অভিমত বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়।

স্থানীয় সরকার ও পর্যটন বিভাগের সহযোগিতায় গত ২২ জুলাই থেকে ‘গো টু ট্রাভেল’ শুরু হয়েছিল। বহু সংখ্যক জাপানি ভর্তুকির এই সুবিধা নিয়ে ভ্রমণে বের হয়ে পড়ে। এই সুযোগ নিয়ে ভ্রমণ করছেন জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।

ইতোমধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানে জাপানে। ১২৪ মিলিয়ন জনসংখ্যার জাপানবাসীর ১৩ দশমিক ৯ মিলিয়নই থাকেন টোকিওতে। ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানীর ওপর করোনার আঘাতও স্বাভাবিকভাবে একটু বেশিই পড়ে।

জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সুগা গত ১৬ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রথম দিনেই তিনি জানান দিয়েছিলেন, জাপানের জনগণের কল্যাণে যা করার, সবই করবেন। তাই ভ্রমণ সুবিধা চালু করে এখন আবার তা বন্ধ করার চিন্তাও করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

[email protected]

আরও পড়ুন:

করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্কতায় টোকিও

জাপানে করোনার তৃতীয় ঢেউ, পরিস্থিতির অবনতি

Comments