কানাডার বেগম পাড়ার বাড়ি ক্রেতাদের তালিকার খোঁজে দুদক

ACC_Logo.jpg
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) | ছবি: সংগৃহীত

কানাডার টরন্টোর ‘বেগম পাড়া’য় বাড়ির মালিকানা রয়েছে, এমন সরকারি কর্মকর্তাদের তালিকা দেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল সোমবার দুদক সচিব দিলওয়ার বখত রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং সরকারের কাছে একটি তালিকা চেয়েছি।’

দুদক কমিশনার ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হাতে পেলে (তালিকা) আমরা কাজ শুরু করব।’

দুদকের চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও এর আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ঢাকার জেলা প্রশাসককে আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের নাম, ঠিকানাসহ বিস্তারিত বিবরণ জমা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।

দুদক সূত্র জানায়, প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার চারটি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) কাছ থেকে কমপক্ষে ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সেই টাকায় তিনি কানাডায় সম্পদ কিনেছেন ও ব্যবসা করছেন।

তার মতো অনেক বাংলাদেশি ‘বেগম পাড়ায়’ বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন। এর জন্য তারা ব্যয় করছেন বাংলাদেশ থেকে পাচার করা কোটি কোটি টাকা। মূলত, বাংলাদেশি কোটিপতিদের স্ত্রী এবং সন্তানরা টরন্টোর এই এলাকায় বাস করেন বলে এর নাম হয়েছে বেগম পাড়া।

গত ২০ নভেম্বর দ্য ডেইলি স্টারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনায় উঠে আসে ‘বেগম পাড়া’।

গত ১৯ নভেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল কালাম আব্দুল মোমেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমাদের সচরাচর ধারণা যে, এগুলো হয়তো রাজনীতিবিদরা করেন। কিন্তু, সেখানে দেখা গেল এদের অধিক সংখ্যক সরকারি চাকরি করেন। অবসর নিয়েছেন বা এখনো চাকরিতে আছেন, তারা বাড়ি কিনেছেন। তাদের ছেলে-মেয়েরা সেখানে থাকেন বড় বড় বাড়িতে। কিছু বাড়ি কিনেছেন আমাদের ব্যবসায়ীরা।’

আরও পড়ুনপররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ সাক্ষাৎকার: কানাডায় সরকারি চাকুরেদের বাড়ি কেনা প্রসঙ্গে

Comments

The Daily Star  | English
bangladesh bank buys dollar

BB buys $313m more from 22 banks

Bangladesh Bank purchased another $313 million from 22 commercial banks in an auction yesterday, reacting to the sharp drop in the US dollar rate.

5h ago