করোনা ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও সরবরাহের প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেশে আসার পরে মজুদ, সরবরাহ ও সঠিকভাবে বিতরণের জন্যে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনে কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে পরিকল্পনা সচিব আসাদুল ইসলাম এ কথা জানিয়েছেন।
PM_ECNEC_24Nov20.jpg
আজ মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনে কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেশে আসার পরে মজুদ, সরবরাহ ও সঠিকভাবে বিতরণের জন্যে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনে কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে পরিকল্পনা সচিব আসাদুল ইসলাম এ কথা জানিয়েছেন।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সভপতিত্ব করেন।

সভার কার্যক্রমে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক; তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন। সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেশে আসার পরে মজুদ, সরবরাহ ও সঠিকভাবে বিতরণের জন্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সঠিক তাপমাত্রায় ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও সরবরাহ করতে তিনি কোল্ড চেইন ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করতে বলেছেন। সেই সঙ্গে টিকা কর্মসূচি পরবর্তী বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছেন।

‘কোল্ড চেইন’ হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে সঠিক তাপমাত্রায় জীবনরক্ষাকারী ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা অনুযায়ী, উৎপাদন থেকে শুরু করে মানবদেহে প্রয়োগ পর্যন্ত ভ্যাকসিনকে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে গেলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী, হিমাঙ্কের নিচে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও জীবন রক্ষাকারী ওষুধ রাখা সম্ভব।

এর আগে স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের ইপিআইয়ের পরিচালক শামসুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা মডের্না ও ফাইজারের ভ্যাকসিন নিয়ে ভাবছি না। কারণ আমাদের ইপিআই কর্মসূচির অধীনে এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও সরবরাহ করার সামর্থ্য নেই। বিদ্যমান ব্যবস্থার উন্নয়নও খুবই ব্যয়বহুল। যেসব ভ্যাকসিন আমাদের বিদ্যমান ব্যবস্থায় সংরক্ষণ করা যাবে যেগুলোর ওপর আমরা জোর দিচ্ছি।’

যেহেতু ডব্লিউএইচও এখনো কোনো ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয়নি তাই এর সংরক্ষণ ও সরবরাহ প্রক্রিয়া কী হবে তা জানা যায়নি।

গত ৫ নভেম্বর সরকার ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক সই করেছে। দেশে বিদ্যমান ‘কোল্ড চেইন’ এর কথা বিবেচনায় নিয়ে সেরামের কাছ থেকে তিন কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার কথা সেই স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে সরবরাহ করা হবে।

বেক্সিমকো ‘কোভিশিল্ড’ নামে ওই ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআইয়ের অধীনে সেগুলো সরবরাহ করবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনটিকেই ‘কোভিশিল্ড’ নাম দেওয়া হয়েছে। এটি বিভিন্ন দেশে চূড়ান্ত ট্রায়ালে রয়েছে।

বিভিন্ন ভ্যাকসিনের জন্যে ভিন্ন ভিন্ন তাপমাত্রার প্রয়োজন। সেগুলোর জন্যে প্রয়োজন ভিন্ন ভিন্ন প্রক্রিয়া। যেমন: কোভিশিল্ডের জন্যে প্রয়োজন দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।

নিউইয়র্কভিত্তিক ফাইজারের ভ্যাকসিনের জন্যে প্রয়োজন মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। একবার খোলার পরে তা দুই দিন ফ্রিজে রাখা যাবে। আমেরিকান বায়োটেক প্রতিষ্ঠান মডের্নার ভ্যাকসিনের জন্যে প্রয়োজন মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। প্রতিষ্ঠানটি এই তাপমাত্রা মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। এটি একবার খোলার পর এক সপ্তাহ ফ্রিজে রাখা যাবে।

গত মার্চে মানবদেহে প্রথম ভ্যাসকিন ট্রায়াল শুরু হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

6m ago