তামিমদের বেহাল দশায় উজ্জ্বল তরুণ পারভেজ
প্লেয়ার্স ড্রাফটে পাওয়া দল নিয়ে খচখচানি ছিল তামিম ইকবালের। তবে ফরচুন বরিশালের বড় নাম ধরা হচ্ছিল যাদের সেই তামিম বা আফিফ হোসেনরা করলেন হতাশ। বরং তাদের বেহাল দশায় ফিফটি করে দলকে বাঁচিয়েছেন তরুণ পারভেজ হোসেন ইমন।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্রথম দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে দেখা মিলল না বড় রানের। আগে ব্যাটিং পাওয়া ফরচুন বরিশাল করেছে ৯ উইকেটে ১৫২ রান । দলের হয়ে ৪২ বলে সর্বোচ্চ ৫১ রান এসেছে পারভেজের ব্যাটে। বরিশালকে ধসিয়ে ১৭ রানে ৪ উইকেট পান পেসার শহিদুল ইসলাম।
মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন তামিম। মিরাজ আউট হন ইনিংসের প্রথম বলেই। তামিম নিজেও করতে পারেননি তেমন কিছু। ফরচুন বরিশালের দুর্বল দশায় উজ্জ্বল ছিলেন তিনে নামা পারভেজ হোসেন ইমন।
পিএসএলে তামিমকে দেখা গিয়েছিল আগ্রাসী অ্যাপ্রোচে। এদিন আবার শুরুতে স্ট্রাইক নিলেন না। থিতু হতে সময় নিচ্ছিলেন। মারতে শুরু করতেই ঘটেছে ইনিংসের ইতি। শহিদুল ইসলামের বলে কমজোরি শটে ক্যাচ দেন লং অফে।
তামিমের দলের মিডল অর্ডারে বড় নাম আফিফ হোসেন। এই তরুণও করেন হতাশ। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে লম্বা সময় পর ফেরা সাকিব আল হাসানকে উইকেট উপহার দেন তিনি।
পারভেজই ছিলেন ভরসা হয়ে। তৌহিদ হৃদয়কে এক পাশে রেখে বাড়াচ্ছিলেন রান। কিন্তু ফিফটির পর ধৈর্যচ্যুতি এই বাঁহাতির। ৪২ বলে ৩ চার, ৪ ছক্কায় ৫১ করে বিদায় নেন পারভেজ। প্রেসিডেন্ট’স কাপের সেরা ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুরের সামনে ছিল আরেকবার হিরো হওয়ার মঞ্চ।
এবার তিনি থিতু হওয়ার আগেই থামান দৌড়। শফিউলের বলে কাভারে তার ক্যাচ নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। সাতে নেমে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ১০ বলে ২১ করে কিছুটা রান বাড়িয়ে যান। কিন্তু শেষ আঁচড়টা দিতে পারেননি তৌহিদ হৃদয়। ১৯তম ওভারেই শহিদুল নিয়ে নেন ৩ উইকেট।
শেষ ওভারে চার-ছক্কা মেরে তাসকিন পার করান দেড়শো।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ফরচুন বরিশাল: ২০ ওভারে ১৫২/৯ (মিরাজ ০ , তামিম ১৫, পারভেজ ৫১, আফিফ ২, হৃদয় ২৭, ইরফান ১১, মাহিদুল ২১, আমিনুল ৫, সুমন ০, তাসকিন ১২*, কামরুল ২* ; শফিউল ২/২৭ , আল-আমিন ০/৩২ , হাসান ২/৪৫, শহিদুল ৪/১৭, সাকিব ১/১৮ , মাহমুদউল্লাহ ০/৮)
Comments