উটাহ মরুভূমিতে রহস্যময় ধাতব দণ্ড, এলিয়েন না মানুষের কাজ!

যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ অঞ্চলের প্রত্যন্ত মরুভূমির লাল পাথরের মধ্যে চকচকে একটি ধাতব দণ্ড দাঁড়িয়ে আছে। বস্তুটি কে সেখানে নিয়ে গেল, কেউ জানে না। কেউ ভাবছেন মহাজাগতিক বস্তু, কেউ বা ভাবছেন এলিয়েনের কাজ।
Utah.jpg
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উটাহ এলাকায় হেলিকপ্টার জরিপ চলাকালে মসৃণ, চকচকে ওই ধাতব দণ্ডটি দেখতে পাওয়া যায়। ছবি: এপি

যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ অঞ্চলের প্রত্যন্ত মরুভূমির লাল পাথরের মধ্যে চকচকে একটি ধাতব দণ্ড দাঁড়িয়ে আছে। বস্তুটি কে সেখানে নিয়ে গেল, কেউ জানে না। কেউ ভাবছেন মহাজাগতিক বস্তু, কেউ বা ভাবছেন এলিয়েনের কাজ।

কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উটাহ এলাকায় হেলিকপ্টার জরিপ চলাকালে মসৃণ, চকচকে ওই ধাতব দণ্ডটি দেখতে পাওয়া যায়।

বন্যপ্রাণী সম্পদ বিভাগ ও জননিরাপত্তা বিভাগের এক ক্রু ১৮ নভেম্বর প্রথম সেটি দেখতে পান। তিন কোণের ওই ধাতব দণ্ডটি প্রায় ১০ থেকে ১২ ফুট লম্বা। তবে, সেটি কারা সেখানে বসাল, সে বিষয়ে কোনো সূত্র পায়নি জরিপ দল।

উটাহ হাইওয়ে পেট্রল কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট নিক স্ট্রিট অবশ্য ওই ধাতব দণ্ডটি অন্য কোনো গ্রহ থেকে আসেনি বলেই মনে করেন।

তিনি বলেন, ‘এই জিনিসটি অন্য কোনো জগতের নয়।’

‘এই ১০-১২ ফুট লম্বা ধাতব দণ্ডটি বসানোর অবশ্যই কিছু পরিকল্পনা আছে’, বলেন তিনি।

ডি মন্টফোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আই কিউ হান্টার বলেন, ‘বস্তুটিকে আপাতভাবে মনে হচ্ছে প্রাগৈতিহাসিক সময়ে ভবিষ্যতের একটি টুকরো। সেখানকার ভূ-প্রকৃতির সঙ্গে এটি একেবারেই যায় না। এলিয়েনদের কাজ।’

তিনি সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা রহস্য ভেদ করে ফেললে এর আকর্ষণ কমে যাবে এবং তাতে আমাদের মনও খারাপ হবে।’

তবে, কেউ এখন পর্যন্ত এটি তৈরি কিংবা স্থাপনের দাবি করেননি। উটাহ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ এ রহস্যের পেছনে আছে কি না, কর্মকর্তারাও তা জানাননি।

পেনসিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির অ্যাস্ট্রো ফিজিক্সের অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স সেন্টারের পরিচালক জেসন রাইট অবশ্য এটিকে কোনোভাবেই এলিয়েনের কাজ বলে মানতে নারাজ।

‘এই ধাতব দণ্ডটি মানুষ অনায়াসেই তৈরি করতে পারে।’

রাইট সিএনএনকে বলেন, ‘আমেরিকার দক্ষিণ-পশ্চিমে মরুভূমি অঞ্চলে এ ধরণের শিল্পের প্রচলন আছে। তাই একে অন্য কোনো কিছু মনে করার কোনো কারণ দেখছি না।’

এর অবস্থানটি এতই প্রত্যন্ত যে, কর্মকর্তারা এর সঠিক ঠিকানা প্রকাশ করেননি। সাধারণ মানুষ এটি দেখতে যেতে চাইলে হারিয়ে যেতে পারেন বলে তারা মনে করছেন।

ভূমি ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা বস্তুটির বিষয়ে তদন্ত করছেন যে, সেটি কবে স্থাপন করা হয়েছে বা কারা এটি তৈরি করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago