সেই আরিফুলেই লড়াইয়ের পুঁজি পেল খুলনা

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মেহেদী হাসান মিরাজের করা শেষ ওভারে চার চারটি ছক্কা মেরে আগের ম্যাচে দলকে জিতিয়েছিলেন আরিফুল হক। এদিন আরও একবার দলের ত্রাতা তিনিই। বিপর্যয়ে থাকা দলকে টেনে এনে দেন সম্মানজনক স্কোর। তার ব্যাটে চড়েই ৬ উইকেটে ১৪৬ রানের পুঁজি পেয়েছে জেমকন খুলনা।

আরিফুল যখন উইকেটে নামেন তখন ৪৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা খুলনা। স্কোরবোর্ডে আর ৬ রান যোগ হতে ফিরে যান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও। তখন শঙ্কা ছিল একশ রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার। সেখান থেকে দলকে টেনে আনেন আরিফুল। সঙ্গী হিসেবে অবশ্য পেয়েছিলেন শামিম পাটোয়ারিকে। তবে মূল কাজটা করেছেন আরিফুলই।

দারুণ ব্যাট করে শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে এদিন ৪১ রান করেন আরিফুল। ৩১ বলের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কার মার। দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন শামিমও। ২৫ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় করেন ৩৫ রান। শেষ দিকে শহিদুল কার্যকরী ১৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন জেমকন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু ব্যাট হাতে তাদের শুরুটা ভালো হয়নি। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে দলটি। এদিনও খালি হাতে মাঠ ছাড়েন ওপেনার ইমরুল কায়েস। খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নিষেধাজ্ঞা থেকে আগের ম্যাচে ফেরা সাকিব আল হাসানও। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর বলে পুল করতে গিয়ে ধরা পড়েন ফরহাদ রেজার হাতে।

দায়িত্বটা এরপর ছিল আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর হাতে। তবে বিজয়কে দারুণ এক থ্রোতে আউট করেন মেহেদী হাসান। এরপর মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে আরও দুইটি উইকেট হারালে বড় বিপর্যয়ে খুলনা। এরমধ্যে ছিলেন অধিনায়কও। আরাফাত সানির বল ঠিকভাবে খেলতে না পারায় বোলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি।

এরপর শামিমের সঙ্গে দলের হাল ধরে দলকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেন আরিফুল হক। রাজশাহীর পক্ষে ৪৪ রানের খরচায় দুটি উইকেট নিয়েছেন মুগ্ধ। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জেমকন খুলনা: ২০ ওভারে ১৪৬/৬ (বিজয় ২৬, ইমরুল ০, সাকিব ১২, মাহমুদউল্লাহ ৭, জহুরুল ১, আরিফুল ৪১*, শামিম ৩৫, শাহিদুল ১৭*; ইবাদত ১/২৭, মেহেদী ১/২৩, মুগ্ধ ২/৪৪, সানি ১/১৭, রেজা ০/২৯, ইমন ০/৫)।

Comments

The Daily Star  | English
ACC finds Nagad corruption evidence

ACC raids Nagad HQ over hiring controversy

"During the drive, the ACC team found initial evidence of irregularities in the recruitment process"

1h ago