পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ও জামায়াত ইসলামীকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ড থেকে আরম্ভ করে গত ৪০ বছরে বিভিন্ন হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী এবং পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, ‘এখন সময় এসেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে প্রবল জনমত সৃষ্টি করার, যাতে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র এবং জামায়াতে ইসলামীকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করা হয়। অন্যথায় ইসলামের নামে জঙ্গি মৌলবাদী সন্ত্রাসী হামলা উপমহাদেশসহ সারা বিশ্বে বার বার ঘটবে।’

ভারতের মুম্বাইয়ে জঙ্গি সন্ত্রাসী হামলার ১২তম বার্ষিকী স্মরণে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ‘উপমহাদেশে ইসলামের নামে জঙ্গি সন্ত্রাসের গডফাদার পাকিস্তান’ শিরোনামে এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।  

সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওয়েবিনারে শাহরিয়ার করিম আরও বলেন, ‘এক যুগ পার হলেও পাকিস্তান মুম্বাই বিস্ফোরণের কুশিলবদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বিচারের নামে চলেছে প্রহসন।’

তিনি বলেন, মুম্বাই হামলা যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর মদদেই হয়েছিল, সেটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও আজ স্পষ্ট। তাই হামলার মূল চক্রী লস্কর-এ-তৈয়বা (এলইটি)-র প্রধান হাফিজ সঈদ ও তার সঙ্গীদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে ব্যস্ত ইসলামাবাদ।’

ওয়েবিনারে আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, লেখক মারুফ রসুল, ভারতে ইন্দো বাংলাদেশ ফোরাম ফর সেকুলার হিউম্যানিজম নির্বাহী সদস্য তাপস দাসসহ বিভিন্ন দেশে থাকা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি, আহ্বায়কসহ সদস্যরা।  

অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মকে বোঝাতে হবে পাকিস্তান একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র, যারা পবিত্র ইসলাম ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ’৭১-এ এদেশে গণহত্যা চালিয়েছিল। ওরা এখন একেবারে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। আমাদের দেশটা যেন ওদের মতো না হয়ে যায়।’

নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, ‘জঙ্গিদের একটি অন্যতম টার্গেট হচ্ছে আদালত। কারণ তারা বাংলাদেশের সংবিধান মানে না। আর আদালত যেহেতু সাংবিধানিক আইন প্রয়োগ করে এবং উচ্চ আদালত সংবিধানকে সুরক্ষা দেয়, ফলে তারা সবসময় আদালত পাড়ার দিকে মনোযোগ রাখে।’

তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ন্যায়বিচারের প্রতীক জাস্টিশিয়া ভাস্কর্য সরানোর দাবিটিও কোনো রাজনৈতিক দাবি ছিল না। জঙ্গিবাদী কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই তারা দাবিটি করেছিল। আস্কারা পেতে পেতে এখন তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যও বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলতে চাইছে!’

Comments

The Daily Star  | English

Heatwave likely to ease; rain expected across Bangladesh from tomorrow

A severe heatwave is sweeping over Rajshahi, Pabna, Sirajganj, Rajbari, Khulna, Chuadanga, Meherpur, and Jashore

10m ago