মোসাদ্দেক-নাহিদুলেই এমন ধস মুশফিকদের
পার্ট-টাইম বোলার হিসেবেই পরিচিত মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। অন্যদিকে নাহিদুল ইসলামও ঘরোয়া ক্রিকেটে কোটা পূর্ণ করার মতো বোলার নন। বিকল্প বোলার থাকলে প্রায়ই শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলেন। সেই বোলারদের বিপক্ষেই পেরে উঠলেন না বেক্সিমকো ঢাকার ব্যাটসম্যানরা। ব্যাটিং বিপর্যয়ে ৮৮ রানের সাদামাটা স্কোর নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ঢাকাকে।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে এদিন ঢাকাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। আর প্রতিপক্ষ অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে যেন উইকেট হারানোর মিছিলে নামেন ঢাকার ব্যাটসম্যানরা। চট্টগ্রামের বোলারদের দাপটের চাইতে ঢাকার ব্যাটসম্যানদের ভুলই ছিল বেশি।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম স্বাভাবিকভাবেই দলের অন্যতম ভরসার নাম। কিন্তু উইকেটে এসেই প্রথম বলেই নাহিদুলের বলে রিভার্স সুইপ করতে গেলেন। অথচ দলিও ২১ রানে তখন ২টি উইকেট হারিয়েছে তাদের দল। যদিও ম্যাচটি টি-টোয়েন্টি। তারপরও দেশসেরা ব্যাটসম্যানের এমন ব্যাটিংয়ে দায়িত্বশীলতার প্রশ্ন তুলেছে।
আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান যেন ব্যাটে বলেই করতে পারছিলেন না। টানা ৯টি বল ডট দেওয়ার পর তেড়েফুঁড়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ উঠিয়ে দেন কভারে। ফলে খালি হাতেই ফিরতে হয় তাকে।
তবে এক প্রান্তে ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। এক প্রান্তে আগ্রাসন ধরে রেখে খেলেছিলেন ৪০ রানের ইনিংস। কিন্তু সৈকতের বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। তিনি ছাড়া দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পেড়েছেন আর মাত্র দুই ব্যাটসম্যান। আকবর আলী (১৫) ও মুক্তার আলী (১২)। আকবরও থামেন সৈকতের বলে। আর মুক্তারকে থামান মোস্তাফিজ।
তবে শুধু যে ঢাকার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাই ছিল তাও নয়। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন চট্টগ্রামের বোলাররা। দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজ দারুণ বোলিং করে দুইজনই উইকেট নিয়েছেন ২টি করে। এছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম ও সৈকতও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বেক্সিমকো ঢাকা: ১৬.২ ওভারে ৮৮ (তানজিদ ২, নাঈম ৪০, সাব্বির ০, মুশফিক ০, আকবর ১৫, শাহাদাত ২, রনি ০, মুক্তার ১২, নাসুম ৮, রুবেল ০, রানা ০*; নাহিদুল ১/১৩, শরিফুল ২/১০, মোস্তাফিজ ২/১৩, মোসাদ্দেক ২/৯, তাইজুল ২/৩২, সৌম্য ১/২)।
Comments