অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ, রাবি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) স্কুল ও কলেজে ‘বিধিবহির্ভূত’ পদন্নোতি চেষ্টার সংবাদ প্রকাশ করায় এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এক শিক্ষিকা।
Mortuza Noor.jpg
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের রাবি প্রতিনিধি মর্তুজা নুর। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) স্কুল ও কলেজে ‘বিধিবহির্ভূত’ পদন্নোতি চেষ্টার সংবাদ প্রকাশ করায় এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এক শিক্ষিকা।

গতকাল রাতে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের রাবি প্রতিনিধি মর্তুজা নুরের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন ও মানহানি’র অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজের প্রভাষক রুনা লায়লা। বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন থানার সাব-ইন্সপেক্টর মাজেদ আলী।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ প্রতিদিনে মর্তুজা নুর ‘রাবিতে বিধিলঙ্ঘন করে শিক্ষিকাকে পদোন্নতি দেওয়ায় আইইআর পরিচালকের পদত্যাগ’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশ করেন। সংবাদটি মিথ্যা, বিদ্বেষপ্রসূত ও হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন অভিযোগকারী শিক্ষিকা।

অভিযোগে আরও বলা হয়, অভিযোগকারীর পরিবার এবং উপাচার্যের মানসম্মান ভূলুণ্ঠিত করার জন্যে এই সংবাদ পরিবেশন ও ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য উক্ত সাংবাদিক মানহানিকর তথ্য-উপাত্ত ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।

সেই সংবাদে বলা হয়, রাবি স্কুল ও কলেজের শিক্ষিকা রুনা লায়লা আগের সরকারি চাকরির ছাড়পত্র জমা না দিয়েই চাকরি নেন। পরে পদন্নোতির জন্যে পূর্বের সার্ভিস কাউন্টের আবেদন করেন। এটি বিধিবহির্ভূত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, স্কুলের সভাপতি ও আইইআর পরিচালক এবং স্কুলের অধ্যক্ষ এই আবেদন নাকচ করে দেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই ওই শিক্ষিকাকে পদন্নোতি দিতে ফের চাপ দেওয়ায় গত ২৪ নভেম্বর আইইআর পরিচালক অধ্যাপক গোলাম কবীর পদত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে অধ্যাপক গোলাম কবীর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ওই শিক্ষিকা সঠিকভাবে সার্ভিস কাউন্টের জন্যে আবেদন না করায় একবার তার আবেদন নাকচ হয়। দ্বিতীয়বার তার আবেদনটির অনুমোদন নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আমার বাদানুবাদ হয়। বিষয়টি বিধিবহির্ভূত হওয়ায় গত ২৪ নভেম্বর আমি দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করি।’

এ ঘটনায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা। তারা জানান, ক্যাম্পাসে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ ও হয়রানি করতেই এই অভিযোগ করা হয়েছে।

তারা বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে কারও আপত্তি থাকলে সেটি সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম ব্যাখ্যাসহ প্রকাশ করে। কিন্তু অভিযোগকারী শিক্ষিকা রুনা লায়লা তা না করে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় আঘাত।

বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার স্বার্থে অভিযোগটি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago