মিঠুনের অধিনায়কত্বের প্রশংসায় লিটন
খাতায়-কলমে বড় দুই দলকে প্রথম দুই ম্যাচেই একশোর নিচে গুটিয়ে দিয়ে বড় জয়। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে নেমেই দাপট দেখাচ্ছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। দুই ম্যাচেই দেখা গেছে তাদের সম্মিলিত পারফরম্যান্স। বড় কোন টুর্নামেন্টে নতুন অধিনায়কত্ব পাওয়া মোহাম্মদ মিঠুনকে দেখা গেছে তৎপর। বোলারদের ব্যবহার করা, ফিল্ডিং সাজানোয় আলাদা নজর কেড়েছেন তিনি। জেমকন খুলনাকে হারাতে ফিফটি করে আসা লিটন দাসও করলেন অধিনায়কের প্রশংসা।
শনিবার ফেভারিট তকমা থাকা খুলনাকে মাত্র ৮৬ রানে গুটিয়ে দেয় চট্টগ্রাম। লিটনের নান্দনিক ব্যাটে ওই রান পরে তারা তুড়ি মেরেই তুলে ৯ উইকেটে জিতেছে। দুই ম্যাচ পর আছে টেবিলের শীর্ষে।
এদিন টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ে গিয়ে শুরু থেকেই খুলনাকে চেপে ধরে চট্টগ্রাম। ঝুলিতে থাকা অস্ত্র দারুণভাবে ব্যবহার করেন মিঠুন। অনিয়মিত অফ স্পিনার নাহিদুল ইসলামকে দিয়ে আনেন শুরুর সাফল্য। পরে মোস্তাফিজুর রহমান ছেঁটে ফেলেন বাকিটা।
৪৬ বলে ৫৩ রান করে ম্যাচ জিতিয়ে আসা লিটন মনে করেন প্রতিপক্ষকে কম রানে আটকে দেওয়ায় বাহবা পেতে পারেন তাদের অধিনায়কও, ‘আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে যে যখন বল করেছে দায়িত্ব নিয়ে করেছে। আর অধিনায়কের মুভমেন্টগুলো খুব ভাল ছিল, মানে কে কখন বল করবে, কোন জায়গা থেকে করবে এসব। যদি দেখেন ফিল্ডিংও ভাল ছিল। সব মিলিয়ে দল হিসেবে ভাল খেলা হয়েছে।’
দুই ম্যাচেই একশোর নিচে লক্ষ্য তাড়ায় বড় শুরু আনেন লিটন আর সৌম্য সরকার। দুজনেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড় দুই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। বেক্সিমকো ঢাকাকে হারানোর দিন সৌম্য ছিলেন বেশি আগ্রাসী, লিটন খেলেছেন এক পাশ ধরে। আজ জেমকন খুলনার বিপক্ষে লিটন খেললেন আক্রমানাত্মক, সৌম্যর ভূমিকা থাকল ধরে রাখার। দুজনের মধ্যে টানা দুই ম্যাচে এলো ৭৯ ও ৭৩ রানের দুই জুটি। লিটন জানান, এক্ষেত্রেও কাজ করেছে বোলারদের এনে দেওয়া সাফল্য, ‘দুইজনেই আসলে অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলছি। কাজেই দুজনেই এই পরিস্থিতিগুলো বুঝি, লো স্কোরিং ম্যাচে কি করতে হয়, কি আসতে পারে সিনারি। সুবিধাও ছিল টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রানের চাপ না থাকলে আরামসে খেলা যায়। দুই ম্যাচেই আমরা এমন পরিস্থিতি পেয়েছি। বোলারদের ধন্যবাদ যে আমাদের নিজেদের মতো খেলার সুযোগ দেওয়ার জন্য।’
Comments