ফের বিপর্যয়ে উজ্জ্বল শেখ মেহেদী, কামরুলের ৪ উইকেট
মন্থর শুরুর পর রান বাড়ানোর চাপে দ্রুত উইকেট হারাচ্ছিল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। এক পর্যায়ে ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল তারা। অমন বিপর্যয় থেকে দলকে উদ্ধারে আরও একবার ত্রাতা হয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান। তবে কামরুল ইসলাম রাব্বি, তাসকিন আহমেদদের তোপে শেষ পর্যন্ত তাদের পূঁজি খুব সাদামাটা।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ১৩২ রান করেছে রাজশাহী। দলের হয়ে ২৩ বলে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করে শেখ মেহেদী। ৩২ বলে ৩১ করেন ফজলে মাহমুদ। ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বরিশাল সেরা বোলার কামরুল।
টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে জড়সড় শুরু পায় রাজশাহী। বরিশালের বোলাররা বেশ চেপে ধরেন তাদের। দুই ওপেনার পাওয়ার প্লে কাটিয়ে দিলেও দ্রুত রান আনার চাহিদা বেড়ে। এই চাপ সরাতে নাজমুল হোসেন শান্ত তেড়েফুঁড়ে মারছিলেন। কিন্তু ঝড়টা বড় করতে পারেননি। ১৯ বলে ২৪ করে আবু জায়েদ রাহির শিকার হয়ে যান তিনি।
ওয়ানডাউনে নেমে রনি তালুকদার পাননি আগের ম্যাচের তাল। মেহেদী হাসান মিরাজের নির্বিষ এক অফ স্পিনে স্টাম্প ছেড়ে খেলে হয়েছেন বোল্ড। তবে সবচেয়ে আঘাত বোধহয় তারা পেয়েছে মোহাম্মদ আশরাফুলের আউটে।
রাহিকে এগিয়ে এসে দারুণ এক ফ্লিকে উড়িয়েছিলেন তিনি। কব্জির ব্যবহার অনেকদিন পর দেখা মিলেছিল আশরাফুলের চেনা ছবি। কিন্তু মিসফিল্ডিংয়ে অহেতুক দুই রান নিতে গিয়ে হয়ে যান রান আউট।
ওপেন করতে নেমে অনেকগুলো বল খুইয়ে থিতু হওয়া আনিসুল পোষাতে পারেননি তা। আশরাফুলের রান আউটেও কিছুটা দায় ছিল তার। আক্ষেপ বাড়ে তার বাজে শটের বিদায়ে। কিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান এসেই উড়াতে গিয়ে ক্যাচ দেন বাউন্ডারি লাইনে।
১১ ওভারের মধ্যেই ৫ উইকেট খুইয়ে বসে রাজশাহী। তখন পর্যন্ত মাত্র ৬৩ রান আসায় অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে যায় তারা।
৬ষ্ঠ উইকেটে জুটি বেধে পরিস্থিতি বদলানোর প্রয়াস নেন ফজলে মাহমুদ আর শেখ মেহেদি। তাদের ৬৫ রানের জুটিতে খেলায় ফিরে রাজশাহী। বিশেষ করে আরও একবার শেখ মেহদির ব্যাট জ্বলে উঠায় রানটা কিছুটা ভদ্রস্থ পর্যায়ে যায় তাদের। মেহেদীকে সঙ্গ দিলেও খুব একটা চড়াও হতে পারেননি ফজলে মাহমুদ। ১৯তম ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে ৩২ বলে ৩১ রান করে ক্যাচ দেন।
শেষ ওভারে মেহেদীসহ ৩ উইকেট উপড়ে রানটা বড় হতে দেননি কামরুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী: ২০ ওভারে ১৩২/৯ (শান্ত ২৪, আনিসুল ২৪, রনি ৬, আশরাফুল ৬ , ফজলে ৩২, নুরুল ০, শেখ মেহেদী ৩৪ , ফরহাদ ১, ইবাদত ০, মুগ্ধ ১* ; তাসকিন ১/১৯ , সুমন ৩/৩৩, রাহি ১/২৯, মিরাজ ২/১৮ , কামরুল ৪/২১, আফিফ ১/১১ )
Comments