উদ্ধার করা হবে বন বিভাগের বেদখলকৃত প্রায় ৩ লাখ একর ভূমি

বন বিভাগের বেদখলকৃত দুই লাখ ৮৭ হাজার একর ভূমি একটি ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে জরুরিভিত্তিতে পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বন বিভাগের বেদখলকৃত দুই লাখ ৮৭ হাজার একর ভূমি একটি ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে জরুরিভিত্তিতে পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ রোববার সংসদ ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘মোট দখলকৃত জমির মধ্যে এক লাখ ৩৮ হাজার একর জমি পুরোপুরি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। ৮৮ হাজার ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান এই জমি দখল করে আছে।’

জমি উদ্ধারে আজ কমিটি একটি টাইম লাইন ঠিক করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ’২০ ডিসেম্বরের মধ্যে দখলকৃত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের পরিপূর্ণ তালিকা তৈরি করা হবে, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সকল চেলা প্রশাসককে উচ্ছেদ নোটিশ প্রস্তুত করার জন্য বলা হবে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে দখলকারীদের সাত দিনের সময় দিয়ে নোটিশ প্রদান করা হবে এবং মার্চ থেকে উচ্ছেদ অভিযান এবং জমি পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হবে।’

বৈঠকে অবৈধভাবে বন বিভাগের জমি দখলকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা (শীর্ষ দশের তালিকাসহ) সংসদীয় কমিটিকে প্রদান করার এবং প্রয়োজনে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার সুপারিশ করে কমিটি।

বন বিভাগের সকল জমির রেকর্ড ডিজিটালাইজড করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও কমিটি সুপারিশ করে।

বৈঠকে বন অধিদপ্তরের বেদখলকৃত জমি ও এর দখলদারদের তালিকা এবং জমি উদ্ধারে গৃহীত ব্যবস্থা, গ্রিন ইকোনমি, ডি কার্বোনাইজেশন, সার্কুলার ইকোনমি, বন ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষার বিষয়ে অষ্টম পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করনে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সে সম্পর্কে এবং সুফল (Sustainable forest and livelihood) প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও এর অগ্রগতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে লাল তালিকাভুক্ত বিলুপ্ত প্রায় প্রাণী ও উদ্ভিদ রক্ষায় যেসব গবেষণা হয়েছে এবং বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করার পর পরবর্তী ফলাফল কমিটিকে অবহিত করার সুপারিশ করা হয়।

যেকোনো ইকোনমিক জোন তৈরির আগে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটিকে স্ট্রাটিজিক ইনভায়োরোমেন্ট প্লান স্টাডি করার জন্য কমিটির পক্ষ থেকে বৈঠকে সুপারিশ করা হয়।

কমিটি সদস্য পরিবেশন, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, মো. রেজাউল করিম বাবলু, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এবং মো. শাহীন চাকলাদার বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও প্রধান বন সংরক্ষকসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

2h ago