অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনে ‘গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া’র অভিযোগে ভারতে আইনি নোটিশ

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ভারতের ৪০ বছর বয়সী একজন স্বেচ্ছাসেবক মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার অভিযোগ তুলেছেন। করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নিয়ে তার যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং এ সম্পর্কিত অন্যান্যদের কাছে পাঁচ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ঐ ব্যক্তি।

নোটিশে ট্রায়াল বন্ধ রাখার আবেদন করে অভিযোগ করা হয়েছে, ভ্যাকসিনটি নিরাপদ নয়। এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল, ‘উত্পাদন ও বিতরণ’ করার অনুমোদন বাতিল চেয়েও আবেদন করা হয়েছে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমাদের নয়াদিল্লী সংবাদদাতা জানান, আইনি নোটিশটি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়াকে (এসআইআই) দেওয়া হয়েছে, যারা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ উৎপাদনে সহযোগিতা করেছে।

এই ভ্যাকসিনের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ভারতীয় মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল এবং ঐ স্বেচ্ছাসেবককে ভ্যাকসিন দেওয়া শ্রী রামচন্দ্র উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকেও এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ঐ ব্যক্তি একিউট এনসেফালোপ্যাথিতে ভুগছেন এবং সব পরীক্ষা থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এটি ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলেই হয়েছে।

তার পরীক্ষা করেছেন এমন একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘তিনি স্নায়বিক এবং মানসিকভাবে চরম ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে গেছেন। ভ্যাকসিনের ফলে তার মধ্যে ভার্চুয়াল স্নায়বিক জটিলতা দেখা দিয়েছে।’

আইনি নোটিশে বলা হয়, অংশগ্রহনকারীর তথ্য সংগ্রহের ফরমে লেখা ছিল যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ নিরাপদ। তাই তিনি বিশ্বাস করে এই ভ্যাকসিন নেন।

গত ১ অক্টোবর তাকে ভ্যাকসিন দেওয়া হলে প্রথম ১০ দিনে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। এরপর থেকেই তার প্রচণ্ড মাথাব্যথা এবং বমি শুরু হয়।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে মূল প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে Covid vaccine trial volunteer sends legal notice to Serum Institute of India over ‘serious side effects’

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi migrants workers rights in Malaysia

Malaysia agrees to recruit 'large number' of Bangladeshi workers

Assurance will be given to ensure their wages, safety, and overall welfare, according to ministry officials

30m ago