ম্যারাডোনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মেসির গোল উদযাপন
সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি আর্জেন্টাইন ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনার প্রতি ব্যক্তিগতভাবে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন তার স্বদেশী তারকা লিওনেল মেসি। ওসাসুনার বিপক্ষে নজরকাড়া গোলের পর জার্সি খুলে ফেলেন বার্সেলোনা অধিনায়ক। তখন তার গায়ে শোভা পেতে দেখা যায় নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের ১০ নম্বর জার্সি। আর্জেন্টিনার এই ক্লাবটির হয়ে এক মৌসুম (১৯৯৩-৯৪) খেলেছিলেন ম্যারাডোনা।
রবিবার রাতে স্প্যানিশ লা লিগার ম্যাচে একপেশে লড়াইয়ে ওসাসুনাকে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে রোনাল্ড কোমানের শিষ্যরা জিতেছে ৪-০ গোলে। কাতালানদের পক্ষে একটি করে গোল করেন মার্টিন ব্র্যাথওয়েট, আঁতোয়ান গ্রিজমান, ফিলিপ কৌতিনহো ও মেসি।
ম্যাচের ৭৩তম মিনিটে ওসাসুনার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন রেকর্ড ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি। পর্তুগিজ উইঙ্গার ত্রিনকাওয়ের পাসে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ডি-বক্সের বাইরে থেকে তিন ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বাঁ পায়ে জোরালো শট নেন ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। বল ওসাসুনা গোলরক্ষক সার্জিও হেরেরাকে ফাঁকি দিয়ে জড়ায় দূরের পোস্টে।
অসাধারণ এই গোলের পর ম্যারাডোনার স্মরণে জার্সি খুলে ফেলেন মেসি। দুহাত ঠোঁটে লাগিয়ে আকাশের দিকে চুমু ছুঁড়ে দেন তিনি। বেশ কিছুটা সময় দাঁড়িয়েও থাকেন সেভাবে। তখন মেসির পরনে তখন ছিল নিওয়েলসের জার্সি। তিনি নিজেও শৈশবে (১৯৯৪-২০০০) খেলেছেন এই ক্লাবটির হয়ে। তবে জার্সি খুলে উদযাপন করায় তাকে দেখানো হয় হলুদ কার্ড।
সেসময় টেলিভিশন ক্যামেরায় দেখানো হয় ম্যারাডোনার বার্সেলোনার জার্সিও। যা রাখা হয়েছিল ন্যু ক্যাম্পের গ্যালারির প্রেসিডেন্সিয়াল বক্সের উপরে। ১৯৮২-৮৪ পর্যন্ত বার্সায় খেলেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ম্যারাডোনা মারা যাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে আবেগঘন বার্তায় মেসি লিখেছিলেন, ‘সকল আর্জেন্টাইনের ও ফুটবলের জন্য অত্যন্ত দুঃখের একটি দিন এটি। তিনি আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ছেড়ে যাননি। কারণ, দিয়েগো অমর। তার সঙ্গে সুন্দর যেসব মুহূর্ত কাটিয়েছি, সেগুলো আমি লালন করব।’
Comments